 
                                       
আগামী কাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে রাজধানী ঢাকার মাদানীনগর মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে ফুযালা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মাদানীনগর ফারেগিন ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন “ইত্তেহাদে ফুযালা ও আবনা” এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক এ পুনর্মিলনী জলসা৷ প্রতিবছরের চেয়ে এ বছরের অনুষ্ঠান হবে ব্যাপক, বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘণ৷ স্বাভাবিক আয়োজন ছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকবে আকর্ষণীয় চমক।
আয়োজক কমিটির একজন পাবলিক ভয়েসকে বলেন, মাদ্রাসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত যারাই এখানে পড়াশোনা করেছে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবারের সম্মেলনে৷ এরই মধ্যে জলসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে তারা৷
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে মাদ্রাসা মসজিদের দ্বিতীয় তলায় শুরু হবে অনুষ্ঠানের মূলপর্ব। এ পর্বে সভাপতিত্ব করবেন জামিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দ্বিপী৷ প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শিক্ষাসচিব ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি ইউসুফ তাওলভি৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন জামিয়ার প্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দ, বর্তমান শায়খুল হাদিস, শিক্ষাসচিব ও প্রবীণ ওস্তাদগণ৷
এ আয়োজন নিয়ে ওমর ফারুক মারূফ নামে মাদরাসার ইফতা বিভাগের একজন ছাত্র তার অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেছেন এভাবে,
আগামী ২৬শে মার্চ মাতৃসম দারুল উলুম মাদানীনগরের ফুযালা সম্মেলন। দীর্ঘদিনের নাড়িছেড়া সন্তানদের অব্যক্ত বিরহের বিচ্ছেদ কাটাতেই আয়োজন করা হয়েছে এই প্রাণের মেলার৷ শেকড়ের টানে, হৃদয়ে আহবানে সন্তানরা আসবে এ প্রতিষ্ঠানে৷ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ শিক্ষকগণ আন্তরিক দোয়া ও জ্ঞানগর্ভ নসিহত, ফিতনা-ফাসাদে আকীর্ণ বর্তমান সমাজে চলার পথের পাথেয় হবে ৷তাই দ্বীনি সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের স্বার্থে অনুষ্ঠানে সকল ফুযালায়ে কেরামের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কাম্য৷ ব্যস্ততম জীবনের ফাঁকগলে সামান্য এই চেতনার মেলবন্ধন হতে পারে হাজারো ধর্মীয় কাজের রুদ্ধ বাতায়ন উন্মুক্ত করবে৷
প্রসঙ্গত : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোড হাইওয়ের পাশেই অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম মাদানীনগর৷ ইসলামী শিক্ষা—দীক্ষা, তাহজিব— তামাদ্দুন, তাবলীগ -তাজকিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অনন্য৷ দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর ধরে দেশব্যাপী বিভিন্ন ইলমি ও ধর্মীয় খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে প্রচারবিমূখ এই দীনি নিকেতন৷ বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলের দ্বীনি শিক্ষা সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র।
 
		