অপহরণের ৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর লাশ

প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
চুরি যাওয়া শিশুটি

পাবলিক ভয়েস: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অপহরণের ঘটনার সাতদিন পর আজ রোববার দুপুরে উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে অপহরণের শিকার আড়াই মাসের শিশু আব্দুল্লাহ মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অপহরণের মূল হোতা গ্রেফতার গুলিশাখালী গ্রামের হৃদয় চাপরাশীর (২০) স্বীকারোক্তি মতে মরদেহটি উদ্ধার করা হলো। এ সময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সাকের্ল) মো. রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. রেজাউল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন…>>৩৬ ঘন্টা পরও সন্ধান মেলেনি চুরি যাওয়া শিশুটির

মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোরেলগঞ্জের বিশারীঘাটা গ্রামের দলিল লেখক সোহাগ হাওলাদারের আড়াই মাস বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহকে জানালার গ্রিল খুলে ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। ওই দিনই অপহৃত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত অপহরণকারীদের নামে মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণকারীদের করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পিবিআইয়ের কয়েকটি টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। পর্যায়ক্রমে পুলিশ এ অপহরণকারী চক্রের ছয়জনকে আটক ও অপহরণে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

সর্বশেষ গতকাল শনিবার রাতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাগেরহাট পিবিআইয়ের একটি দল ঢাকা থেকে এই অপহরণ ঘটনার মূল হোতা হৃদয় চাপরাশীকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান থেকে রোববার দুপুরে বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে পুলিশ শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধর করে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা হৃদয় চাপরাশীসহ অপহরণে জড়িত সাতজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন