

২৮ বছর পর ১১ মার্চ ২০১৯ সোমবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার সাক্ষি। সকল ছাত্র জনতা ঢাবির এই ছাত্র অধিকার আদায়ের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্র জনতার অবদান অনেকাংশেই সর্বাগ্রে বিবেচিত তাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে থাকে।
ছাত্র সংসদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে। তখন এর নাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (DASU) ‘ডাসু’। শিক্ষার্থীদের ১ টাকা চাঁদা দিয়ে এর সদস্য হতে হত। তখন থেকেই সকল জুলুম,অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এই ‘ডাসু’। ভাষা, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার বলা হয় এই ছাত্র সংসদ প্যানেলকে। ১৯৫৩ সালে এর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নাম রাখা হয়- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (DACSU) ‘ডাকসু’ নামে’। দেশ বিভাগের পর ১৯৭২ সালে ডাকসু’র প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস হন মাহবুবুর রহমান। এরপর মাঝে মধ্যে কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা ছিল। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০-৯১ সেশনে। শেষ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন আমানুল্লাহ আমান আর জিএস খায়রুল কবির খোকন। এরপর থেকে দীর্ঘ ২৮ বছরে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু)। যদিও ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে বলা আছে যে প্রতি বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই ২৮ বছর পর্যন্ত আর কোন নির্বাচন হয়নি। স্বাধীনতার পরে মোটে ‘সাত’বার ডাকসু নির্বাচন হয়। এদেশের রাজনীতিতে ডাকসু নির্বাচন দ্বিতীয় সংসদ নামে পরিচিত।
৯১ পরবর্তী সময় থেকেই ডাকসু নির্বাচনের জোর দাবি আসছে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে। সবাই-ই মাঝে মধ্যে দাবি তুললেও দাবির স্থায়িত্ব হয়নি তেমন। তবে ২০১৮ সালে এসে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সক্রিয় হয়ে উঠে। শহীদ মিনারে অনশন, ভিসি বরাবার দাবি আরও আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় ছাত্রজনতা। সর্বশেষ এসব আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে করা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি রিট আবেদনের নিস্পত্তির রায় দেয় আদালত। যে রায়ের উপর ভিত্তি করেই শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে এসে ডাকসু নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ডাকসু ভবন
ফেব্রুয়ারি মাসে তফসিল ঘোষণা করে মার্চের ১১ তারিখ (সোমবার) নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের। এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা উৎসবের একটি বড় আমেজ পেয়েছে।
প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে দু একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়া সবকিছুই সুন্দরভাবে হয়েছে বলা চলে। গত প্রায় দশদিন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রার্থীরা তাদের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। এবারের ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ২৫ টি পদের বিপরীতে লড়বেন মোট ২২৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন ২১ প্রার্থী, সাধারণ সম্পাদক ( জিএস) পদে ১৪ ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩ জন প্রার্থী। এছাড়া প্রতিটি সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন যথাক্রমে: স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১০ জন, সমাজ সেবা সম্পাদক ১৪ জন। পাশাপাশি ১৩ টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ৮৬ জন প্রার্থী। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ৭৩৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন এবং হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪ পদের বিপরীতে ৫০৯ জন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদের মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৬ জন। প্রতিটি হলে গড়ে ভোটার রয়েছে ২ হাজার ৪০৩ জন। পছন্দের প্রার্থী বাছাই করে ৩৮টি পদের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে এক একজন শিক্ষার্থীকে। সর্বমোট ১৮টি হলে এই ভোট গ্রহণ হবে।
ডাকসু নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনই অংশ নিচ্ছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, “ইসলামভিত্তিক” ছাত্র সংগঠন ইশা ছাত্র আন্দোলনসহ বামজোট পর্যন্ত সবারই প্রার্থী বা প্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য প্যানেলসমূহ হল, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, ইশা ছাত্র আন্দোলন, বামজোট ঘোষিত প্যানেল এবং কিছু কিছু পদে স্বতন্ত্র ভাবে দাড়ানো প্রার্থীরা । এবং কিছু পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘোষিত ছাত্রলীগের প্যানেলে প্রধান তিন পদে রয়েছেন, ভিপি পদে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদন গোলাম রাব্বানী ও সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও সব হল সংসদে এবং কেন্দ্রীয় প্যানেলে ছাত্রলীগের প্রার্থী রয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে মোস্তাফিজুর রহমান, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে খোরশেদ আলমকে মনোনিত করা হয়েছে। তবে ছাত্রদল সব হল সংসদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল না দিতে পারলেও কেন্দ্রীয় প্যানেলে প্রার্থী দিয়েছে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতা কর্মীরাও নুরুল হক নুরকে ভিপি, রাশেদ খাঁনকে জি এস ও এজিএস হিসেবে ফারুক হোসেনকে প্রার্থী করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। তবে তারাও হল সংসদে সব পদে প্রার্থী দেয়নি।
এই তিন প্যানেলের বাইরে ডাকসু নির্বাচনে আরও যে প্যানেলটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে তারা হল, “ইসলামভিত্তিক” ছাত্র সংগঠন ত্রিধারার (কওমী মাদরাসা, আলিয়া মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ভার্সিটি) ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেল। তারাও হল সংসদে সকল পদে প্রার্থী না দিলেও কেন্দ্রীয় পদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। ইশা ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে এস. এম. আতায়ে রাব্বী, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মাহমুদুল হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে এইচ. এম. শরীয়ত উল্লাহকে নির্বাচিত করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। ডাকসু নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে এ আলোচনা উঠার পরই ছাত্রলীগ, ছাত্রদল এবং বাম সংগঠনগুলো তাদেরকে “ধর্মভিত্তিক দল, সাম্প্রদায়িক দল” ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল কিন্তু তাদের বাধার মুখেই ইশা ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেল চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এবং তারা সকল নিয়ম মেনে ক্যাম্পাসে জোর প্রচারণাও চালিয়েছে।
এছাড়াও বাম সংগঠনগুলোর সম্মিলিত বামজোট তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। বাম জোট থেকে সহ সভাপতি (ভিপি) হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির এবং এজিএস পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সাদিক প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
এসব প্যানেলের বাইরেও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী এবং স্বতন্ত্র ছাত্রজোট থেকেও প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে এবং স্বতন্ত্রভাবে কোন প্যানেলে না গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ পদেও নির্বাচন করছে একাধিক প্রার্থী। এর মধ্যে অনেকের অবস্থানও বেশ ভালো তারা বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান নির্ণয়ে সক্ষম হবে বলে জানা গেছে।
কাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আলোচিত এই ডাকসু নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা আশঙ্কাও কম নেই। শুরু থেকেই হলের বাইরে নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র বা ভোটবুথ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল একাধিক প্যানেলের নেতাকর্মীরা কিন্তু ছাত্রলীগের একক দাবি ছিল হলগুলোতেই ভোট কেন্দ্র স্থাপনের এবং শেষ পর্যন্ত হলগুলোতে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ঢাবি প্রক্টর জানিয়েছেন নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং তিনি সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিয়েছেন যদিও ভোটের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি সমর্থিত সাদা প্যানেলের শিক্ষকরা ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং তারা বলেছেন “নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় ভিন্ন মতের কাউকে রাখা হয়নি” যে কারণে তারা মনে করেন “নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না”
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রথম দিনের সিনেট বৈঠকে সকল প্রার্থীদের একত্রিত করে ঢাবির ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান আশ্বাস দিয়েছেন ভোট সুষ্ঠু হবে এবং সব শিক্ষার্থীই সমান অধিকার পাবে। তবে ভোট কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে তো বটেই সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের আশঙ্কা তাই সচেতন মহলের দাবি অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের এই ঐতিহ্যমন্ডিত নির্বাচনটা যেন অন্তত সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় যাতে করে ছাত্রজনতা তাদের পুরনো দিনের ঐতিহ্য এবং সেই হারানো গৌরব ফিরে পায়। ছাত্রজনতার এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির সর্বোচ্চ মাধ্যম। এই মাধ্যমটি কোনভাবে কলুষিত না হোক এ দাবি কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র জনতারই নয় বরং দেশের সকলের। তাই আমরা অপেক্ষা করছি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের এবং দেখতে চাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যে নির্বাচনে ধুঁকতে থাকা ছাত্র জনতা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাবে।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, পাবলিক ভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ডাকসু নির্বাচন : পাবলিক ভয়েস
- সোনার বাংলা নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন ডাকসু নেতারা : উপাচার্য
- ডাকসু’তে অনিয়ম : স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল
- ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে আছেন যারা
- ডাকসু নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বিতরণ করছে ছাত্রদল
- ডাকসু নির্বাচনে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
- ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
- ডাকসু নির্বাচন: ভোটকেন্দ্র হলেই, ভোটার ৪৩ হাজার
- আদর্শিক পরিবর্তন চাইলে আমাদের সাথে আসুন : ডাকসু নিয়ে ইশা কেন্দ্রীয় সভাপতি
- ডাকসু নির্বাচনে ইশা’র প্যানেলে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ও কিছু কথা
- ডাকসু নির্বাচনে ইশা প্যানেলের প্রচারণায় বামদের বাধা : প্রতিবাদ বিবৃতি
- ডাকসু নির্বাচনের আমেজ ঢাবির হলগুলোতে
- শুভকামনা ডাকসুর ইসলামপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য
- গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে : সৈয়দ আবুল খায়ের
- ডাকসু নির্বাচনে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্র ফেডারশনের ইশতেহার ঘোষণা
- ডাকসুতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়ে “ইশা ছাত্র আন্দোলন” প্রভাব তৈরি করতে পেরেছে : গাজী আতাউর রহমান
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সিনেট বৈঠক, অংশ নিয়েছে “ইসলামভিত্তিক” দলগুলোও
- ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে : ঢাবি উপাচার্য
- ডাকসু নির্বাচনের সকল তথ্য : প্রার্থী সংখ্যা ও সার্বিক বিষয়
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশেষ ভিডিও প্রতিবেদন