
পাবলিক ভয়েস: নেত্রকোনার পূর্বধলায় আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে পূর্বধলা উপজেলার হিরনপুর বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আ.লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারে নৌকার নির্বাচনী অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, চেয়ার টেবিলসহ বাজারের চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজনের সমর্থক জলিল খান, টিটু খান, জনি খান, রিপন ফকির, ফারুক ফকির, লুৎফুর খান, খোকন খান, দেলোয়ার খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ আলম তালুকদারের সমর্থক মজিবুর রহমান, লাক মিয়া, মো. আব্দুল লতিফ, মো. ফারুক মিয়া, সুমন মিয়া, কাসেম মিয়া, রতন মিয়া ও আব্দুর রশিদ বেপারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে পূর্বধলা উপজেলার হিরনপুর বাজারে আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ আলম তালুকদারের সমর্থকরা আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এরই জের ধরে লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আনে। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান, বর্তমান এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীকের সমর্থক আ.লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ আলম তালুকদার। এমপির নির্দেশেই এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তারা। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ আলম তালুকদারর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

