একুশে গ্রন্থমেলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানসূচি

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগামীকাল (শনিবার) ১৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা চলবে সকাল ১১.০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

গ্রন্থমেলার আয়োজনে যেসব প্রোগ্রাম রয়েছে এ দিনে

  • গ্রন্থমেলায় শিশুপ্রহর
    আগামীকাল মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। সকাল ১১টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।
  • সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বসকাল ১০:০০টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত নির্বাচন।
  • বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর : শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মইনুদ্দীন খালেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফরিদা জামান, নিসার হোসেন এবং মলয় বালা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান।
  • এছাড়াও সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানসমূহ

আজ শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় “কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: শ্রদ্ধাঞ্জলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান”

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি মোহাম্মদ সাদিক এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বাস্তব জগৎ শুধু প্রকৃতি নয়, মূলত মানুষকে ঘিরে; সময়ের মধ্যে হাঁটেন তিনি, মানুষময় ভাবনায় মগ্ন থাকেন। এই মানুষের সঙ্গে আসে সমাজের ক্ষত-ক্ষতি-তমসা, মানবতার সংকট ও বিকৃতি। নীরেন্দ্রনাথ সেই কবি যিনি সন্ধ্যায় প্রত্যেককে তার নিজস্ব নারীর কাছে ফিরে আসার অমোঘ সত্য উচ্চারণ করেন। জীবন আর কবিতার মাঝখানে তিনি কোনো ব্যবধান রাখেন না। বলা হয়েছে, তিনি ছন্দকে চাবুক করে তুলেছেন, অক্ষরবৃত্ত-মাত্রাবৃত্ত-স্বরবৃত্তের বাঁধনে নিজেকে বাঁধেননি। কেননা নীরেন্দ্রনাথ নিত্য খুঁজে গেছেন, ছেঁকে তুলেছেন সেই জীবনকে সেই বাস্তবের মানুষ ও চারপাশকে যা ধারণ করে আছে নিহিত মানবিক সত্তা আর সেই সত্তার কথায়নে তিনি নান্দনিকতা বিনির্মাণ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ আয়ু, সৃষ্টিশীলতা আর যেন মৃত্যুও গেঁথে তুলেছে দীর্ঘ আলোর মত হাহাকার আর প্রেমময় বহুস্তরগামিতাকে ।

আলোচকবৃন্দ বলেন, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাংলা কবিতাকে দিয়েছেন নতুন দিশা। দৈনন্দিন কথ্য বুলিকে তিনি অনায়েসে যেমন কবিতা করে তোলেন তেমনি জীবন ও জগতের নিগূঢ় দর্শনকে কবিতার মধ্য দিয়ে বাক্সময় করেছেন। পূর্ববাংলার মানুষ নীরেন্দ্রনাথ তাঁর আপন মৃত্তিকাকে কখনও বিস্মৃত হননি। তাঁর কবিতায় এবং অন্যান্য লেখায় বারবার ফিরে এসেছে পূর্ববাংলার মাটি ও মানুষের কথা। তারা বলেন, কবিতাকে একই সঙ্গে শৈল্পিক মানসম্পন্ন এবং সাধারণ মানুষের যোগাযোগক্ষম করে তুলতে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাধনা বাংলা কবিতার পাঠক চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা বাংলা কবিতার ভুবনে এক বিশেষ মাত্রা-সংযোজক। অতি সাধারণ বক্তব্য-বিষয়কে তিনি প্রায় আটপৌরে ভঙ্গিতে যেভাবে কবিতা করে তুলেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর। এছাড়া কবিতা নিয়ে তাঁর গদ্যও পাঠকের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

অন্যদিকে বইমেলায় “লেখক বলছি” অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন গোলাম কিবরিয়া পিনু, আসলাম সানী, জুলফিয়া ইসলাম, ফারুক আহমেদ এবং পলাশ মাহবুব।

কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি ইকবাল আজিজ এবং হারিসুল হক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল এবং রূপা চক্রবর্তী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল হাসান আব্দুল্লাহ’র পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঘাসফুল শিশুকিশোর সংগঠন’ এবং আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের পরিচালনায় ‘ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র’-এর নৃত্যশিল্পীবৃন্দের পরিবেশনা।

মন্তব্য করুন