গফরগাঁওয়ে আলমগীর মাহমুদ আলমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৫

আশরাফ আলী ফারুকী 

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলমকে নিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে আজ গফরগাঁও প্রেসক্লাবের শামছুল হক মিলনায়তনে এক প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মশাখালী ইউনিয়ন শাখা, পাগলা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।

সম্মেলনে নেতারা বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতা আলমগীর মাহমুদ আলম চমক ফকিরের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু সেই খাওয়ার ছবি বিকৃত করে ফ্যাসিবাদী চক্র ও আওয়ামী লীগের দোসররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে যে, তিনি নাকি আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ভোজন করেছেন।

বক্তারা বলেন, “এই অপপ্রচার মূলত রাজনৈতিকভাবে সচেতন নেতাদের হেয় করা, জনগণের বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং দলের ভিতরে ফাটল ধরানোর নোংরা প্রয়াস। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন অনেক বেশি সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ।”

সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন আলমগীর মাহমুদ আলমসহ সব নেতাকর্মী। নেতার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মহল পরিকল্পিতভাবে এমন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম চমক ফকির, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল হাসান, পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, আবু সায়েম, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান পল্টন, গফরগাঁও থানা বিএনপির সাবেক সম্মানিত সদস্য মাহবুবুল আলম মোহন, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য, জয়নুল আবেদীন চানু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্মানিত সদস্য মোঃ গোলাম কুদ্দুস, উপজেলা সম্মানিত সদস্য ইসরাফিল জাহাঙ্গীর টিটো, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল ইসলাম ইমন, উপজেলা জাসাসের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, পৌর জাসাস আহবায়ক রোস্তম আলী ,এছাড়া অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনে নেতা কর্মীরা।

তারা বলেন, “আমরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি—প্রমাণ থাকলে সামনে আনুন, অন্যথায় এই ধরনের মিথ্যাচারকারীদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে।”

সম্মেলনের শেষ অংশে দলীয়ভাবে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” স্লোগানের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

মন্তব্য করুন