

…………………………………
মাহদী হাসান রিয়াদ
…………………………………
পাবলিক ভয়েস: রেস্তোরাঁয় রকমারি আইটেম দিয়ে নাস্তা করতে পারি। পারবোনা কেন! আমাদের তো টাকা আছে। মিনারেল ওয়াটার ছাড়া আবার চলেনা। চলবেই বা কেন! নইলে যে শরীর খারাপ হবে।
৭০% খাবার টেবিলের উপর রেখে চলেও আসতে পারি। অপচয় করতে পারি। পারবোনা কেন! আমাদের তো সেলফি নেওয়া শেষ।
রেস্টুরেন্ট থেকে আসার সময় ওয়েটারের হাতে, ছোট কিংবা বড় একটি নোট ধরিয়ে দিতে পারি। দেবোনা কেন! হাজার টাকার নাস্তা করে বিশ, ত্রিশ টাকা বকশিস দিতে সমস্যা কি!! আসলেই তো।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রেস্তোরাঁর গেইটে! দাদার বয়সী কিংবা দাদীর বয়সী বৃদ্ধ দু’টি চোখ, অবাক বিস্ময় চেয়ে আছে আমার দিকে। খুব নত হয়ে কী যেনো বলতে চাই!কিন্তু সাহস নেই। অবশেষে অসহায়ের বেশে হাত দু’টি প্রসারিত করে দিলো।
বোঝতে পারলাম- তাঁর চাহিদা একটি দোয়েল মার্কা নোট। আমি তো ধনী, দোয়েল মার্কা নোট কিংবা পদ্মা সেতু মার্কা কয়েন কি আমার পকেটে থাকে? না, অসম্ভব!
এতো কিছুর পরেও সহজেই প্রতি উত্তরে বলে দিই, ভাঙতি নেই।
ওয়েটারকে দেওয়ার জন্য টাকা থাকে। খাবার নষ্ট করার পরেও বিল দিতে দিধাবোধ করিনা। কিন্তু ঐ বৃদ্ধ ভিক্ষুককে দশ টাকার একটি লাল নোট দিতে, ঠিক দিধাবোধ করি।
ওয়েটার মাস শেষে মোটা দাগের বেতন পাই। দুই আইটেম দিয়ে নাস্তা করলে, তেমন কোন সমস্যা হতোনা আমার। নয়তোবা অবশিষ্ট খাবার গুলো, ভিক্ষুককেও দিতে পারি। এতে আমার কোন সমস্যা হতোনা। বরং সম্মানটা আরো বৃদ্ধি পেতো।
মূল সমস্যা হচ্ছে- আমরা অন্ধ, হ্যাঁ অনেকটা অন্ধ। অন্তরের চোখ গুলোর দৃষ্টি শক্তি, একদমই নেই বললেই চলে। একটু যদি চিন্তা করতাম, তাহলে অনায়াসে হাসি ফুটতো ভাঁজ পড়া কিংবা কোমল চেহারা গুলোতে।