

বিশেষ মন্তব্য-
পলাশ রহমান
তের সালের হেফাজত আন্দোলনের পরে থেকে দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম জোনায়েদ বাবুনগরির পাসপোর্ট সরকার জব্দ করে রেখেছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি বহুবার পাসপোর্ট ফেরত চেয়েছেন, দেয়া হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, যেতে পারেন নিই। সৌদি আরব যেতে চেয়েছেন হজ করতে, যেতে পারেন নিই। তার পাসপোর্টের দাবিতে চট্রগ্রাম হেফাজত একবার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করেছিল, কাজ হয়নি। বরং অদৃশ্য ইশারায় সে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল।
হেফাজত আন্দোলনের পর সরকার বাবুনগরিকে রিমান্ডে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করেছিল। তখন এতটাই নির্যাতন করা হয়েছিল যে ডাক্তাররা তার বেঁচে থাকার আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন।
সরকার তার শারিরীক বেগতি দেখে তখন ঘাবড়ে যায়। তড়িঘড়ি করে হাজত থেকে মুক্তি দেয় হত্যার দায় এড়াতে, কিন্তু পাসপোর্ট ফেরত দেয় না। উন্নত চিকিৎসাও নেয়া হয় না এই বর্ষিয়ান আলেমের।
সে যাত্রায় মাওলানা বাবুনগরি বেঁচে গেলেও রিমান্ডের অমানবিক নির্যাতনের ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সেই অকথ্য নির্যাতনের পর উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার পা এখন অচল প্রায়। তবু সরকারের বোধদয় হয়নি, হচ্ছে না।
কিন্তু কেনো তার সাথে এমন বিমাতা আচারণ করছে সরকার? কেনো তাকে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে? কী বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে একজন বর্ষিয়ান আলেমের সাথে চরম মানবতাবিরোধী আচারণ করে?
আমরা তো জানি সরকারের সাথে হেফাজতের এখন ভালো সম্পর্ক, তবু কেনো পাসপোর্ট পাচ্ছেন না বাবুনগরি? কেনো উন্নত চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে পারছেন না?
সোহরাওয়ার্দীতে প্রধানমন্ত্রীকে
আল্লামা শফি সাহেব কেনো সরকার কে বলছেন না বাবুনগরির পাসপোর্ট ফেরত দিতে? কারা আল্লামা শফি কে সঠিক খবর জানতে দিচ্ছে না?
আমি মনে করি আল্লামা শফি সাহেবের একটা ফোন কলই যতেষ্ঠ মাওলানা বাবুনগরির পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার জন্য। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য।