

মাসুদুর রহমান সিদ্দিকী
মেয়েরা যদি মনে করে নগ্নতা তাদের জন্য ফ্যাশন তাহলে আমিও মনে করি ছেলেদের জন্য ধর্ষণ শারীরিক ব্যায়াম। নগ্নতা রোধ না করে কখনো ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব নয়। এখন যদি আপনারা মনে করেন আমি নিচু মানষিকতার, তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার কিছু যায় আসেনা। মেয়েরা উলঙ্গ হয়ে হাটবে আর ছেলেরা কি চোখ বন্ধ করে রাখবে ? আল্লাহ ছেলে মেয়ে উভয়ের উপর পর্দা ফরজ করেছেন।
আমাদের উচিত মেয়েরা পর্দার বিধান মেনে চলা এবং ছেলেদের চোখের হেফাজত করা। কিন্তু আমরা তা করিনা। একটা মেয়ে আমার চোখের সামনে তার শরীর আমাকে দেখাবে আর আমাকে বলবে তুমি তোমার চোখ বন্ধ করে রাখো সেটা কি করে হয় ? আমাদের ঈমান এতোটা মজবুত না যে একটা মেয়ে উলঙ্গ হয়ে আমার সামনে দাঁড়াবে আর আমার চোখে তার প্রতি যাবেনা, আমরা দিতে না চাওলেও শয়তান আমাদেরকে ছাড় দিবেনা।
আমাদের সমাজের কিছু কুলাংগার নারী স্বাধীনতার নামে নগ্নতাকে স্বাধীনতা দিয়ে দেশটাকে আমেরিকা বানাতে চাইছেন , তাদের এইটা বুঝা দ্বরকার যে। বাংলাদেশে শুধু আমেরিকান স্টাইল চালু করলে তো হবেনা, আমেরিকান কালচার ও আমেরিকান সুযোগসুবিধাও চালু করতে হবে। যারা বাংলাদেশে নারীদের স্বাধীনতার নামে নগ্নতাকে চাচ্ছে, আমি তাদের বলতে চাই। আমেরিকাতে যেমন ছেলে মেয়েরা যখন ইচ্ছে যেখানে ইচ্ছে সেই খানেতেই সেক্স করে বাংলাদেশেও এরকম সুযোগসুবিধা চাল করুন।
আমি ১০০% গ্যারান্টি দিলাম ধর্ষণ হবেনা যদি বাংলাদেশে পর্দার আইন চালু করতে পারেন। আপনারা মেয়েদের বলবেন আমেরিকান স্টাইলে চলার জন্য আর ছেলেদের বলবেন সৌদিআরব স্টাইলে চলার জন্য এটা তো হতে পারেনা।একিই দেশে দুই ধরনের আইন।অনেকে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন,ধর্ষণের জন্য যদি পোশাক দায়ী হয় তাহলে ৫,৭,৯ বছরের ছোটো ছোট মেয়েরা ধর্ষিত হয় কেন? এক্ষেত্রেও বলব পোশাক দায়ী না, ছোটো ছোট মেয়েদের পোশাক নয় বরং যুবতী মেয়েদের পোশাক।
ধর্ষনের জন্য অবশ্যই পোশাক দায়ি। আমরা আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে তো কখনো দেখিনি বা শুনিনি ৭/৮ বছরের মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হয়, এখন কেন হচ্ছে? কারনটা সিম্পল পশ্চিমা সংস্কৃতি আর পার্শ্ববর্তি দেশের সিনামেটিক পোশাক আমাদের সামাজিক এবং চারিত্রিক মুল্যবোধ কে ধংষ করেছে যার প্রভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী থেকে শুরু করে বৃদ্ধা মহিলা এমন কি শিশুরাও এর বলি হচ্ছে, অনেকে আবার এটা বলে যে, পোশাক যতটা দায়ী তার চেয়েও বেশি দায়ী নিচু মানসিকতা।
আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মানসিকতা কখনো এমনি এমনি তৈরি হয়না, মানসিকতা তৈরি হয় পরিবেশ থেকে। যেমন আল্লাহ বলেন যদি কোনো ব্যাক্তি আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে চলা ফিরা করে তাহলে সেও আল্লাহ ওয়ালা হইয়ে যাবে। আর যদি কেও সুদ খোর বা জিনাখোরের সাথে চলে তবে সেই অব্বাশ তার ভিতরেও পয়দা হবে। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশটাই এমন। ফেইসবুকে ঢুকলে সেখানেও উলঙ্গ মেয়ের ছবি, ইন্টারনেটে ঢুকলে সেখানে উলঙ্গ মেয়ের ছবি, পর্ণ সাইট তো আছেই, রাস্তাঘাটে বের হলে সেখানেও মেয়েদের বডি দেখানো পোশাক।
এতকিছুর পরেও মানসিকতা স্বাভাবিক থাকবে কিভাবে? যারা বলে ধর্শনের মূল কারোন মানসিকতার দোষ আমি তাদেকে বল্বো আপনারা মানসিকতার দোষ দেয়ার আগে সুন্দর মানসিকতা তৈরি হওয়ার মত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করুন। হ্যা ধর্ষণ অবশ্যই জঘন্য একটা জিনিস, কিন্তু ধর্ষণের ক্ষুদাটা জন্ম হয় পোশাক থেকেই।
পরিশেষে বলতে চাই, পোশাক পরিবর্তন করুন, ইসলামে যেমন পোষাক পড়তে বলেছে এমন পোষাক পড়ার উব্বাশ করুন। দেখবেন এই বাংলাদেশে ধর্শনের মন মানসিকতা এমনি এমনি পরিবর্তন হয়ে যাবে। নারীদের কিছু বলতে চাই, তোমরা কেও আমাদের মা বোন ইত্যাদি তোমরা যদি ভালভাদে পর্দার শয়িত চলাফিরা কর। দেখবে এই বাংলাদেশে কোন ধর্ষন হবেনা। আমি আমার লেখাটা কাওকে ব্যাথ্যা দেও্যার জন্য লেখিনি বরং দেশকে ধর্শন মুক্ত করার জন্য লেখেছি। ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।