‘বাংলাদেশে কন্ট্রাকটারি করবে আর দুর্নীতি হবে না তা হতে পারে না’ : ব্যারিস্টার সুমন

ভুলতা ফ্লাইওভারের ডিভাইডার ভেঙ্গে বিপদজনক অবস্থা

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০

উদ্ভোধনের ১০ মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে গেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেনের ফ্লাইওভারের ডিভাইডারের অনেক অংশ। ডিভাইডার ভেঙ্গে বিপদজনকভাবে রড বের হয়ে আছে যা ভয়ানক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে যে কোনো সময়।

বিষয়টি যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে লাইভ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ও সিলেটের সন্তান ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ঢাকা থেকে সিলেট যেতে পথের মধ্যে তিনি ভুলতা ফ্লাইওভারের এই দুর্দশা দেখে আজ ফেসবুক লাইভ করেন তিনি।

লাইভে তিনি ডিভাইডারের ভাঙ্গা অংশ দেখিয়ে বলেন – এখানে কী দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ নেই যারা এই ডিভাইডারের ভাঙ্গা অংশগুলো সরিয়ে দেবে এবং বিপদজনকভাবে বের হয়ে থাকা রডের মাথাগুলো ঠিক করে দেবে। কারণ বের হয়ে থাকা রডের মাথাগুলোর সাথে যে কেউ অ্যাকসিডেন্ট করতে পারে যে কোনো সময়।

একই সাথে তিনি ভেঙ্গে যাওয়া দুর্বল ডিভাইডারগুলো দেখিয়ে বলেন, যে কন্টাকটার এই ফ্লাইওভারের ডিভাইডারের কাজ করেছে সে অবশ্যই এখানে দুর্নীতি করেছে। বাংলাদেশ কন্টাক্টরের কাজ হবে আর দুর্নীতি হবে না তা হতে পারে না।

তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর আবেদন জানিয়ে বলেন, দয়া করে অতি শীঘ্রই মানুষের জীবন রক্ষার জন্য হলেও ফ্লাইওভারের উপর এভাবে বিপজ্জনকভাবে পড়ে থাকা ডিভাইডারের ভাঙ্গা অংশ গুলো সরিয়ে তা মেরামত করার জন্য। নয়তো এখানে যে কোন সময়ে ভয়াবহ কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেনের ফ্লাইওভারটি গত বছরের ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে ফ্লাইওভারটির কাজ কিছুটা অসম্পন্ন থাকলেও ঈদে মানুষের চলাচলের জন্য ৯ আগস্ট একেবারেই কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া খুলে দেওয়া হয় এটি। এতে মহাসড়কে কমে যায় যানবাহনের চাপ ও যানজটও কমে আসে একেবারে।

ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ টাকা। পরবর্তিতে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে এটি আরও ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা বাড়িয়ে ২৯৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টাকা করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বরাবর ১২৩৯ মিটার দৈর্ঘের একটি ও ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক বরাবর ৬১১ মিটার ৪ লেনের দুই ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বরাবর ২.১৩ কিলোমিটার এবং ঢাকা বাইপাস সড়ক বরাবর ১.০৮৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্থকরণ করা হয়।

ভিডিওটি দেখুন :

মন্তব্য করুন