

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেধাবী ছাত্রী ইসরাত জাহান উষ্ণ তিন হাসপাতাল ঘুরে আইসিইউ না পেয়ে মারা গেলেন। শ্বাসকষ্টের কারণে তার মৃত্যু হয়। করোনায় আক্রান্তের ভয়ে হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে বিকেল তিনটার দিকে মারা যান। এ মৃত্যুর জন্য মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালকে দায়ী করেছেন ইসরাতের দুলাভাই বুয়েটের সিনিয়র সহকারী লাইব্রেরীয়ান মো. ইসমাইল হোসেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইসরাতের দুলাভাই বুয়েটের সিনিয়র সহকারী লাইব্রেরীয়ান মো. ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলমদী গ্রামের ওয়াহিদ ভূইয়ার মেয়ে ও বারদী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান উষ্ণ গত ৬ জুন শনিবার সিজারের মাধ্যমে মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। পরে ১১ জুন বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তিনি সোনারগাঁওয়ের আলমদীর বাড়িতে গেলে শুক্রবার সকালে তার খিচুনি হয়ে মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে। দ্রুত তাকে পুনরায় মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
তারা দাবি করেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউর দোহায় দিয়ে কোনো চিকিৎসা দেয়নি। ইসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ঢামেকেও আইসিইউ না থাকায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তিনি মারা যান।
ইসরাত জাহান উষ্ণ বারদী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের আওতায় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন।
মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালের একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
এমএম/পাবলিকভয়েস