
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধা আরো এক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনকালে করোনাক্রান্ত (কভিড-১৯) হয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন।
দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মোৎসর্গকারী এ পুলিশ সদস্য সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
সুলতান আরেফিনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। আজ শনিবার (২ মে ২০২০ খ্রি.) ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপুরে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
সুলতান আরেফিনের মৃত্যুতে জামালপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সুলতান আরেফিনের মৃত্যুতে জণকল্যাণে নিবেদিত জামালপুরের সন্তান দুই পলিশের মৃত্যু হলো। জেলার দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুতে পুরো জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাতে জামালপুরের আশিক মাহমুদ (৪০) নামের আরেক পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তিনিও রাজারবাগ পুলিশ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ১০নং ঝাউগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রবাড়ী গ্রামে। তিনি ডিএমপি, ঢাকার ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এয়ারপোর্টে জোনে কর্মরত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট খবর: জামালপুরের পুলিশ সদস্য আশিক মাহমুদ করোনায় মারা গেছেন
উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৫ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ৭৪১ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শেষ ২৪ ঘন্টাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৩২ জন। এরমধ্যে ডিএমপি’র ৩৫৬ জন। এছাড়াও আইসোলেশনে আছেন ১৭৪ পুলিশ সদস্য, কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১২৫০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন।
/এসএস

