ক্ষতিপূরণের আশায় সড়কের পাশে রাতারাতি শত শত অবৈধ স্থাপনা

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই খবরে বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় সড়কের পাশে রাতারাতি গড়ে উঠছে শত শত অবৈধ স্থাপনা।

স্থানীয় একাধিক চক্র কোনও ধরনের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তুলছে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে গড়ে উঠা এসব স্থাপনার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন এসব স্থাপনা তৈরির ফলে অধিগ্রহণের সময় সরকারের ক্ষতিপূরণ বাবদ বাড়তি অর্থ গচ্চা যেতে পারে।

এসব স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প।

এই প্রকল্পের নরসিংদী জেলায় রয়েছে ৫২ কিলোমিটার সড়ক। মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, সড়কের উভয় পাশের ১০ মিটার দূরত্বে স্থাপনা তৈরির নিয়ম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, জমি অধিগ্রহণের সময় সরকারের কাছ থেকে বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় মহাসড়ক ঘেঁষে উভয় পাশে গড়ে তোলা হয়েছে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর, মার্কেট ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ভবন।

গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে চলছে বহুতল বিশিষ্ট এসব অবৈধ স্থাপনা তৈরির কাজ। স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার পরও বেশকিছু ভবন তৈরির কাজ চলছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী চক্র এসব স্থাপনা তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন গণমাধ্যমকে বলেন, সড়কের ভিডিওসহ একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। বিল্ডিংগুলোর বিষয়ে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ অনুমোদন দিয়ে থাকে। উন্নয়ন সমন্বয় মিটিংয়ে বলা হয়েছে পৌরসভা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষ যাতে অনুমোদনবিহীন বিল্ডিংগুলো অপসারণে ব্যবস্থা নেয়।

আই.এ/

মন্তব্য করুন