গোপালগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা এবং বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

গুরুতর আহত টুকু কমিশনার (৫৫), তৌকির (১৮), আজগর (৩৮), গোলাম ফরহাদ (৫০), আল আমিন (১৮), কাদের (১৮), রুহুল আমিন (৪১), মাসুদ (২৯), মাহফুজ (২৩), হাফিজুরকে (৩০) মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং মারাত্মক আহত আসাদকে মিয়াকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে মুকসুদপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাহারা জোরদার করেছে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুকসুদপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া আনারস প্রতিকের প্রচারনায় মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের বলনারায়ন বাজারে যায়। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্ত মুন্সী’র সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটা-কাটির ঘটনা ঘটে। এসব খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাণ্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫জন আহত হন।

এছাড়াও ভাবড়াশুর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের মনোজ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকেরা। প্রতীক বরাদ্দের আগেও বনগ্রাম বাজারে কর্মীদের উপর হামলা করে তারা।

আনারস প্রতিকের প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া বলেন, আমি নিজে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার আদর্শের একজন সৈনিক। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ নিজেকে আ.লীগ সমর্থিত বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এছাড়া চেয়ারম্যান সাব্বির খানসহ উপজেলার বেশ কিছু আ.লীগ নেতা ভোটারদের মুক্ত মুন্সীর মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ও ভয় ভীতি দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালাচ্ছে।

মুকসুদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরতঃ চিকিৎসক ডাক্তার মাসুদ করিম জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রায়হান হোসেন বলেন, দুই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মুকসুদপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন