

পাবলিক ভয়েস: ঢাকার ধামরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু মনির হোসেন অপহরণের তিনদিন পর আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে গ্রেফতার দুই অপহরণকারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটি মরদে উদ্ধার করা হয়। নিহত মনির ধামরাইয়ের আশুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী সোনা মিয়া ওরফে কালা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি (শনিবার) বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির পাশে সালাম মেম্বারের ধানের চাতালে খেলতে যায় মনির। সন্ধ্যার পরও সে বাড়ি না ফিরলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন তারা। কোথাও না পেয়ে পরদিন গত রোববার ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন সোনা মিয়া। এরপর গতকাল সোমবার বিকেলে তার মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ধামরাই থানা পুলিশকে জানানো হয়।
এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতেই পুলিশ সোনা মিয়ার বাড়ির পাশের মাজেদুল ইসলাম (২৭) ও মানছুর রহমান (২৫) নামে দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে তারা মনির হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার দুই হত্যাকারীকে সঙ্গে নিয়ে ধামরাইয়ের আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে শিশু মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার দিনই শিশু মনিরকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। পরে মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। ওই মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আরো একজন জড়িত রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।