
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলায় বেড়েই চলছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা। বেসরকারি সংগঠন হীড বাংলাদেশের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গত এক বছরে ৬ জন থেকে বেড়ে এর বর্তমান সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫২ জনে। রবিবার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান সংগঠনটির কর্মকর্তারা। তারা আরও জানায়, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে দ্বীপ জেলা ভোলায় পুষ্টিহীন শিশুর জন্ম হচ্ছে।
আর এ শিশুরাই দ্রুত কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর আগে হীড বাংলাদেশ ও দি লে-প্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর আয়োজনে ও সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয় হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিত্যানন্দ চৌধুরীর সভাপত্বি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হীড বাংলাদেশ এর এলাকা ব্যবস্থাপক রতন কুমার অধিকারী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, হীড বাংলাদেশ মনিটরিং অফিসার সফিউল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক যোগেজ মন্ডল, শাখা ব্যবস্থাপক সন্তোষ কুমাড় দত্ত, জুনিয়ার স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. সোলায়মান, নাসিং ইনিস্টিটিউট ইনচার্জ রোকসানা বেগম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা জানান, কুষ্ঠ প্রাচীনতম একটি রোগ। এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়েই নিয়মিত এর চিকিৎসা নিলে সম্পূর্ণ ভালো হওয়া সম্ভব। কুষ্ঠ প্রথমে স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। এটা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এনজিওগুলোও কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে কাজ করে যাচ্ছে।

