কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল (২২ মার্চ) বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ জন।
তবে এই সংখ্যার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিওদের সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ।
তাদের দাবি, প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন রোহিঙ্গা এবং নিখোঁজ আছেন অন্তত ৪৫০ জন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরও ১৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।
ধ্বংসস্তূপ এখনো পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজ অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। এসব প্রাণহানির পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১০ হাজার ঘর।
এতে করে গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রচণ্ড গতির বাতাসের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের হিসেব অনুযায়ী যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- খতিজা বেগম (৭০), সলিম উল্লাহ (৫৫), আসমাউল (৭), রফিক আলম (২৫), আবদুল্লাহ (৮), মিজানুর রহমান (৪), বশির আহমদ (৬৫), মো. একরাম (৩), এমদাদ উল্লাহ (২৪)।
ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে পুড়ে যাওয়া ক্যাম্পের পাশেই একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় সহস্রাধিক আহত রোহিঙ্গা শরণার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।