রাশিয়ার তৈরি এসইউ-৩৫ এবং এসইউ-৫৭-এর সম্ভাব্য সরবরাহ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া। রাশিয়ার ‘ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন’-এর মুখপাত্র ভ্যালেরিয়া রেশেতনিকোভা এ তথ্য জানান।
এ মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা তাস-এর খবরে বলা হয়, ‘রাশিয়ান এসইউ-৩৫ এবং এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আঙ্কারার সম্ভাব্য পরিকল্পনা থাকায় তুরস্ককে এ বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত বিরবণ বিশদভাবে জানানো হয়েছে। এখন যদি তুরস্কের অনুরোধ পাওয়া যায়, এ নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।’
রুশ ফেডারেশন এবং বিদেশি রাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক কৌশলগত সহযোগিতার বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও দেখভাল করে দিমিত্রি শুগায়েভের নেতৃত্বাধীন ‘ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন’। এটি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
রাশিয়া থেকে এরইমধ্যে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ন্যাটো সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত করে আঙ্কারা ও মস্কো।
এতে ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন ন্যাটো। এ অস্ত্র কেনার কারণে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আঙ্কারা এ পদক্ষেপকে ‘মারাত্মক ভুল’ অভিহিত করে বলেছে, এতে দুই দেশের সম্পর্ক অনিবার্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে আঙ্কারা।
এরপর তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে মার্কিন স্টেলথ যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ উৎপাদনের যে চুক্তি ছিল, তা বাতিল করে দেয় হোয়াইট হাউস।
মুখপাত্র রেশেতনিকভ বলেন, এর আগে পঞ্চম প্রজন্মের তুর্কি যুদ্ধবিমান টিএফ-এক্স নির্মাণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিল রাশিয়া।
এ বিমানে স্টেলথ টুইন-ইঞ্জিন যুক্ত করার কথা প্রস্তাব করা হয়েছিল। সব ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে সমন্বয় করতে সক্ষম বিমানটির কাজ এখন বিএই সিস্টেমের সহযোগিতায় টার্কিক অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজে চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তুর্কিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব টিএফ-এক্স পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। রাশিয়া আভাস দিয়েছে, এ প্রোগ্রামে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিবেচনায় তৈরি তার দেশ। কিন্তু, আমরা এ পর্যন্ত আঙ্কারার তরফে কোনো ধরনের আলোচনার প্রস্তাব পাইনি।’