চরমোনাই’র পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের বয়ান ও মুসল্লীদের রোনাজারির মাধ্যমে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী কীর্তনখোলা তীরের ঐতিহাসিক চরমোনাই ফাল্গুনের মাহফিল। আজ শনিবার সকালে পীরসাহেব চরমোনাই আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। ফজরের নামাজের পর তিনি আগত কয়েকলক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলামানের উদ্দেশ্যে বয়ান ও নসিহত পেশ করেন।

শুক্রবার মাহফিলের শেষ দিন হলেও বরাবরের মতো শনিবার সকালে আখেরী বয়ান ও মুনাজাতের পর মাহফিলের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। আগত লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিল কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক, কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী; একশ লাইট, মাইক ও টেলিফোন টেকনেশিয়ান। একদল নিবেদিত ডুবুরি, ফায়ারসার্ভিস কর্মী, পুলিশ, RAB ও গোয়েন্দা বাহিনী। দেশ—বিদেশের মেহমানদের জন্য ছিল সুবিশাল মেহমানখানা।

বুধবার থেকে শুরু হয় ঐতিহাসিক চরমোনাই ফাল্গুনের মাহফিল। মাহফিলে অংশ নিতে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই মাদ্রাসার মাঠসহ পাঁচটি মাঠ ও আশপাশের এলাকাজুড়ে ঢল নামে মুসল্লিদের। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির তত্বাবধানে পরিচালিত ঐতিহাসিক চরমোনাই ফাল্গুনের মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মাহফিল শুরুর পূর্বেই মানুষের ঢল নামে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই ময়দানে।

তিনদিনব্যাপী এই মাহফিল ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো।

বৃহত চরমোনাই এই ফাল্গুন মাহফিলে আগত মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত করা হয় পাচঁটি মাঠ। বুধবার মাহফিল শুরুর পূর্বেই পূর্ণ হয়ে যায় নির্দিষ্ট জায়গা সমূহ।

শুক্রবার চরমোনাই মায়দানে একসাথে জুমার নামাজ আদায় করেন লক্ষ লক্ষ মুসল্লি। জুমার নামাজের পূর্বে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নায়েবে আমীরুল মুজাহেদিন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাহফিল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এবং স্বাস্থবিধি মানার জন্য বারবার মাইকে স্বরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো চিকিৎসা টিম। এছাড়াও নিরাপত্তা ও সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঘোষিত মাহফিলের সার্বিক নির্দেশনাটি অনুসরন করতে বলা হয়।