নাস্তিক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালেরর বিচারক মজিবুর রহমান চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

পরবর্তীকালে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই। পরে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ দিকে, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এ মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর এই আদালতে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

অভিযোগপত্রের ছয় আসামিরা হলো- মেজর জিয়া, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।

এর মধ্যে আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক।

একই মামলায় ১৫ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। তারা হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আবদুস সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।