ইউসুফ পিয়াস:
পাবলিক ভয়েস
আজ পহেলা ফাল্গুন। প্রকৃতি তার দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে। সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। ঝরাপাতার শব্দ আর হালকা শীতল বাতাসের ঘ্রাণ জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে! শীতের রিক্ততাকে মুছে দিতেই প্রকৃতি সাজছে তার নতুন রূপে। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান। ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমন বাঙালি প্রানে প্রানে নতুন আবেশ ছড়ায়। বাসন্তীর সাজে সজ্জিত হয় প্রকৃতি আর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণগুলো। খুশির আমেজ ছড়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে। প্রকৃতির শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার বর্ণিল আভা রাঙ্গিয়ে দেয় বিরহ ক্লান্ত মন। বাসন্তীর সাজে প্রকৃতি জানান দেই আজ বসন্ত। সে ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিস্বর্গ প্রকৃতিতে। নতুন রূপে প্রকৃতিকে সাজাবে ঋতুরাজ বসন্ত।
[caption id="attachment_96392" align="alignnone" width="570"] ভ্রাম্যমান ফুল বিক্রেতা। দনিয়া কলেজ প্রাঙ্গন[/caption]
প্রকৃতির এহেন সাজসাজরব বসন্তকে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করে নেই বাঙালিরা। বসন্তের আগমনে সবচেয়ে বেশি আনন্দ কাজ করে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মাঝে। বসন্তকে বরণ করে নিতে নিজেদের ক্যাম্পাসকে সাজসজ্জায় রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। আলপনা, গান কবিতা ইত্যাদির মাধ্যমে বরণ হয় ঋতুরাজ বসন্ত।
বসন্ত উৎসবের শুরুটা যেখান থেকে: মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। তাই পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। সে ঐতিহ্যের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারলেই বসন্ত উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে পারবে বাঙালি চেতনাকে।
বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস