সাত বছর বয়সী নিজ শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাবা মো. আক্তার সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামছুন্নাহার। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৩ মে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুটির মা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ও আসামি স্বামী-স্ত্রী। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে শব-ই-মিরাজের নামাজ পড়ার জন্য ভিকটিমকে বাসায় রেখে পাশেই বোনের বাসায় নামাজ আদায় করতে যান ভিকটিমের মা।
নামাজ শেষে ভোর ৫টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখেন ভিকটিম কান্নাকাটি করছে। আক্তার সরদার তার মেয়ের পায়ের উরু মুছছে। বাদীকে দেখে আক্তার সরদার দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে মাকে জানায়, তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মিরাজ উদ্দিন। পরের বছরের ৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।