জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত এক নথির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে যে, আল-কায়েদার ইয়েমন শাখার প্রধান নেতা খালিদ বাতারফিকে গত অক্টোবর মাসে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়েদার এই নেতাকে গ্রেফতার মূলত বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক বিশাল অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।
নথিতে বলা হয়েছে যে আরবীয় উপদ্বীপে আল-কায়েদার নেতা খালিদ বাতারফিকে গত এক বছর ধরে আটক করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং গত অক্টোবর মাসে 'আল-মাহরাহের গায়েদা সিটিতে সরকারী একটি অভিযানের সময়' তাকে গ্রেফতার এবং তার সহকারী সাদ আতেফ আল-আওলাকীকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের একটি মনিটরিং দল কর্তৃক সুরক্ষা কাউন্সিলকে দেয়া এই প্রতিবেদনটি যাচাই করার পর বাতরাফিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে আল কায়েদার এই নেতার অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি এবং গত অক্টোবরের সে অপারেশনের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়নি।
কিন্তু এসব সংস্থাগুলির অনলাইন তদারকির উপর নজরদারি করা 'সাইট ইন্টেলিজেন্স' নামে গ্রুপটি অক্টোবরে একটি “অসমর্থিত প্রতিবেদনে” উল্লেখ করেছে যে বাতারিফিকে ইয়েমেনি নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপরে তাকে সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
আল কায়েদা (একিউএপি) বরাতে জানা গেছে যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় তার পূর্বসুরী কাসিম আল-রিমির ইন্তেকালের পরে তার স্থানে বতরাফিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দ্বারা বিশ্বব্যাপী “সন্ত্রাসী” হিসাবে চিহ্নিত হওয়া বাতারফি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আল কায়েদার অসংখ্য ভিডিওতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এসআইটিই, এবং তাকে দেখা গেছে কাসিম আল-রিমির ডেপুটি এবং গ্রুপের মুখপাত্র হিসেবে।
ওয়াশিংটন 'একিউএপি'কে আল-কায়েদার সবচেয়ে বিপজ্জনক শাখা হিসাবে বিবেচনা করে এবং এই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চালিত ড্রোন যুদ্ধ চালিয়েছে।
ফ্লোরিডায় একটি মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে ২০১৯ সালের এক হামলার জন্য AQAP দায় স্বীকার করেছে, যেখানে সৌদি বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তিন আমেরিকান নাবিককে হত্যা করা হয়েছিলো।