হাসান আরিফ: ক্রুসেডের কথা আমরা প্রত্যেকেই জানি। ধর্ম যুদ্ধের নামে বারবার মুসলিম সা¤্রাজ্যে হামলে পড়েছিলো ইউরোপিয়ানরা। ক্রুসেডের নামে বারবার রক্তাক্ত করেছে বিভিন্ন মুসলিম জনপদকে। কিছুদিনের জন্য দখল করেছিলো পবিত্রভূমি বায়তুল মুকাদ্দাস। কিন্তু তরবারির ক্রুসেডে তারা মুসলমানদের সাথে পেরে উঠেনি। সুলতান ইমামুদ্দীন জঙ্গী, নুরুদ্দীন জঙ্গী, সালাহুদ্দিন আইয়বি, রুকনুদ্দিন বাইবার্সদের তরবারির কাছে ইউরেপিয়ানরা বারবার নাকানি-চুবানি খেয়েছে।
তরবারির ক্রুসেডে পরাজিত হয়ে ইউরোপিয়ানরা শুরু করেছিলো নতুন আরেকটি ক্রুসেড। সেটি হলো বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রুসেড। সে ক্রুসেডে তারা নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করেছে। এ ক্রুসেডের মূলকথা হলো, কৌশলে মুসলমান তরুণদের অন্তরে ইসলামের ব্যাপারে সন্দেহের বীজ বপন করে দাও। তারাই ইসলামকে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
টাকার বিনিময় কিছু লোক নিয়োগ করে তারা ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা করায়। খুঁজে খুঁজে আপত্তির স্তুপ জমা করে ইসলামের বিরুদ্ধে। তাদের প্রদান টার্গেট ছিলো কুরআন এবং হাদীস। কারণ এ দুটি সম্পর্কে মুসলমানদের অন্তরে সন্দেহ তৈরী করে দিতে পারলে নিজেদের অজান্তে তারা ভ্রষ্টতার সাগরে হারিয়ে যাবে।
কুরআন এবং হাদীসের প্রামাণিকতার উপর প্রাচ্যবিদদের এমন কিছু অভিযোগের দালিলিক জবাব প্রদান করা হয়েছে “প্রাচ্যবিদদের নখরদন্ত”-এ। গবেষণামূলক বইটি লিখেছেন পাবলিক ভয়েস এর শারয়ী সম্পাদক, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার।
বইটি পাবেন একুশে গ্রন্থমেলায়। প্রকাশ করেছে ‘পায়রা প্রকাশনী’।
একুশে গ্রন্থমেলা স্টল নং- ৩৩৭, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, ঢাকা।