মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন,  ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেয়া ব্যক্তিদের তালিকা করার কথা ভাবছে সরকার। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সহযোগীদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আগামী ২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বহু লোক (মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে আবেদন করা) যাচাই-বাছাইয়ে টেকেনি, হয়তো তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন। সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত নন। আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে- এগুলো (মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা) শেষ হলে আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা যায় কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখব।’

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন, এর মধ্যে অনেকে আছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা অন্যান্যভাবে সেইসব তালিকা পূর্ণতা দেয়া যায় কিনা। একইভাবে আমরা সংসদে রাজাকারের তালিকা করার জন্য আইন করার চেষ্টা করছি। সব রকমের মানুষের দাবি, মানুষের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন আছে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত করার পর আমরা সেইসব ব্যাপারে আত্মনিয়োগ করব।’

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।