ইউসুফ পিয়াস: শীতের মৌসুমে আমারা কম বেশি শখের পিঠা খেয়ে থাকি। প্রতিদিন ভোর অথবা সন্ধা আমাদের বাসায় মজার মজার পিঠা বানানো হয় যা আমরা খুব মজা করে খেয়ে থাকি এমনকি মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব সহ আনন্দ করে থাকি।

তবে দুর্ভাগ্য হলো আমরা খেতে পারলেও অথবা খাওয়ার জায়গা থাকলেও কিন্তু দীর্ঘ খাওয়ার ইচ্ছা আর উচ্ছাস নিয়ে আড়ালে পড়ে থাকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত কোমলমতি শিশুরা! যাদের নেই কোন আশ্রয়স্থল! তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে যাদের যুদ্ধের শেষ নেই তারায় খাবে আবার শীতের মৌসুমে পিঠা!!

তবে মানবতার সেবায় অন্যের মুখে হাসি ফোটানার ইচ্ছায় কোমলমতি শিশুদের ইচ্ছে পূরণে সমাজের তারুণরা এগিয়ে আসলেই পূরণ হয় এই বঞ্চিত শিশুদের শখ! তৃপ্তির হাসি ফোটে তাদের চাহনিতে। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে তারা।

গতকাল শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে রাজধানী শনিআখড়া এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জমকালো পিঠা উৎসবের আয়োজন করে শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপীলিকা । যেখানে প্রায় তিনটি সুবিধাবঞ্চিত সংগঠন থেকে দুই শতাধিক শিশু এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ণমালা স্কুল এ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুস সালাম বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Voice Of Shonirakhra গ্রুপের এডমিন মো. ইমরান খান, ড, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষক আব্দুল্লাহ মাহু, ফেমাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক ফয়সাল বাবু সহ  অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠাননটির আয়োজন করেন পিপীলিকার পরিচালক শাহাদাত শিহাব সহ পিপীলিকার সদস্য বৃন্দ। পিপীলিকার সদস্যরা বাচ্চাদের জন্য নিজ নিজ বাসা থেকে হরেকরকমের পিঠা বানিয়ে নিয়ে আসেন। যা বাচ্চাদের মাঝে পরিবেশন করা হয়।

শীতের মৌসুমে হরেকরকম পিঠা পেয়ে বাচ্চাদের মাঝে মাঝে অন্যরকম এক আনন্দ।