পেরিয়ে গেল ১০টি বছর ফেলানীর হত্যার। কিন্তু আজও বিচার পায়নি পরিবার। ২০১১ সালের এই দিনে ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে সীমান্তের কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই হত্যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এখনো ন্যায় বিচার পায়নি নিহতের পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার তার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে পারিবারিকভাবে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়ার পরও প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিলো ফেলানীর নিথর দেহ।
এ ঘটনায় গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।
ফেলানী হত্যার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার না পাওয়া হতাশ ফেলানীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষের গুলিতে বীদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে কিশোরী ফেলানী।
দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ফেলানীর নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকার পর তার লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর ৮ (জানুয়ারি) শনিবার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
পরে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া প্রতিবাদে বিচারের ব্যবস্থা হলেও বেকসুর খালাস পেয়ে যায় গুলিবর্ষণকারী অমীয় ঘোষ।
ফেলানীর পরিবারের আপত্তিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নতুন করে শুনানি শুরু হয়।
কিন্তু পুনর্বিচারে একই আদালত তাদের পুরোনো রায় বহাল রাখে। এ মামলায় দুই দফা কোচবিহারে গিয়ে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম।
ন্যায় বিচারের জন্য আবারও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে অনেক ঘুরেছি, মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি। কোনো ফল পাইনি। মেয়ে আমার চলে যাওয়ার ১০ বছর হলো।
আজও তার বিচার পেলাম না। বার বার বিচারের তারিখ বদলায়। তাহলে বিচার পাবো কীভাবে।