এরপরও নন ক্রিয়াশীল কিসে? বাম ও রামকেন্দ্রিক ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে যা করে বেড়ায়, সেসব ক্রিয়া বা কর্ম এ সংগঠনটির ছেলেরা করে না। করা সম্ভব না। এরা চাঁদাবাজি করে না, হাইজ্যাক করে না, কাউরে ধরে এনে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করে না, ইভটিজিং করেনা, মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে কোন মেয়ের ইজ্জত লুটে না। হোস্টেলে ফাও খায়না। কাউরে মারে না, ধরে না। হোন্ডায় চরে গুন্ডামী করে না। নিলক্ষেতে গিয়ে জোরপূর্বক বাকীতে কিছু কিনে না, মুফতে তেহারি বা পিঁয়াজু খায় না।
ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ইসলামী আদর্শবাদী সংগঠন। প্রত্যেকে শরীয়াতের হুকুম হুবহু পালনকারী । সুন্নাতে রাসুলিল্লাহির হুবহু পাবন্দি। সুন্নাতি লেবাসধারীর কারণে ক্যাম্পাসে সমীহের চোখে দেখে সকলে। এরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। এরা খুব মেধাবী। নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় হাজির থাকার পাবলিক।
তাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানের জন্য প্রস্তুত একদল নওজোয়ান। তাঁদের তত্ত্বাবধায়ন করেন এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। বিশেষ করে দুজন শায়েখ মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই, মুহতারাম আমীর আইএবি ও মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, সিনিয়র নায়েবে আমীর, আইএবি। তাঁদের দোয়া ও দিকনির্দেশনা নিয়ে তাঁদের ছাত্র জীবনটা জ্যোতির্ময় করে তুলছে। এমন ছেলেদের সাথে প্রশাসনের অন্যায্য আচরণ হবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাকরি বেখেয়াল হবেন না। ইশা ছাত্র আন্দোলনের অধিকারকে খর্ব করা তাদেরকে মানাবে না। তাঁরা নির্বোধ নন, তাঁরা যথেষ্ট জ্ঞাণী। আরো আশা করি, সম্মানিত ভিসি মহোদয় নিজ প্রজ্ঞা ও শুভবুদ্ধির দ্বারা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবেন।
তবে ছোট একটা কথা আগাম বলে রাখি, ইশা ছাত্র আন্দোলনকে এ ইস্যুতে দমানো যাবে না। ইনশাআল্লাহ।
লেখক-
লেখক, এক্টিভিস্ট, বিশ্লেষক।