পাবলিক ভয়েস: কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার (২৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহেশখালীর শাপলাপুর ও আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ঘাটে এ ঘটনাগুলো ঘটে।
এ সময় পৃথক ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩১ রাউন্ড গুলি ও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ির মিয়াজী পাড়ার জাকির হোসাইনের ছেলে হেলাল (৩০)। তৎক্ষণাৎ বাকি দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ি হংস মিয়াজীপাড়া এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৪ মামলার আসামি হেলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে শাপলাপুর ঢালায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হেলালের মরদেহ, দুইটি দেশিয় তৈরী অস্ত্র, ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল টুটুল বড়ুয়া, মো. ফরহাদ, মো. নাসির ও মো. শাহজাদা আহত হয়েছেন। নিহত মাদকবিক্রেতা হেলালের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি প্রভাষ।
এছাড়া র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পের কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকবিক্রেতারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদকবিক্রেতারা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মরদেহ, ৫০ হাজার ইয়াবা, দু’টি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও ১৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়ে। তবে নিহত দুই মাদকবিক্রেতার এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে দু’জনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে হবে।
কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, মরদেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।