ইউসুফ পিয়াস:
সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে মাথার উপরের আকাশটি। হিমেল হাওয়ায় সাথে অনুভুত হচ্ছে কনকনে শীত। জানালা খুলে দেখা যায় আকাশে সূর্য মামার দেখা নেই। গরম জামা গায়ে মড়িয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটি চলছে পথিকগণ । শিশিরের ফোঁটায় ভিজে লাল টকটকে হয়ে ওঠছে চিলেকোঠার টবের লাল গোলাপটি।
সকালে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পথঘাট। টিনের চালায় টুপ টুপ করে অবিরাম পড়ছে কুয়াশার ফোটা। ঠাণ্ডায় কাঁথা কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমটা হচ্ছে আসাধারণ। যতয় সময় যাচ্ছে ততই ইচ্ছে জাগে আরেকটু ঘুমানোর। ঘুমের রাজ্য যেন ছাড়তেই চাইনা তার সঙ্গিকে।
ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা ঠান্ডায় এককাপ রং চা কিংবা কফিতে চুমক দিলে মন্দ হয়না। চা কিংবা কফিতে চুমুকে অনুভুত হয় শিশির ভেজা সকালটি। তবে শহরের চেয়ে গ্রামের সকলটা একটু ভিন্ন মজার। সকাল সকাল গ্রামের চুলার পাশে বসে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজায় হয় আলাদা। ভোর হওয়ার সাথে সাথে চতুরদিকে শীতের সকালে পাখির কিচির মিচির আর গাছে গাছে লতা পাতা আর ঘাসের ওপর ঝরা শিশির বিন্দু দেখতে মুগ্ধকর। বকের সারি নদীর হাঁটুজলে মাছ শিকারে ব্যস্ত শিকারীরা। শিশির ভেঙে চাষি ছুটে যান সবুজ ধানের ক্ষেতে। রোদের আলোয় ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে। একটু পা ভিজাতেই চমকে উঠে শরীর। অনুভূত হয় কনকনে শীত।
ষড়ঋতুর দেশে হেমন্ত মানেই চুপিচুপি শীতের আগমন। দীর্ঘ রাতের কুয়াশার আবরণ আর সকালের শিশির বিন্দু দেখে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতোই বলতে হয় ‘দুয়ারে আসিছে শীত; বরি লও তারে..’। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডাঠাণ্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। আর শীতেই বাঙ্গালির ঘরে ঘরে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠা আর বিভিন্ন খাবারের আয়োজন।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস