পাবলিক ভয়েস: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুটি প্যানেলই নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে দুটি প্যানেলই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্যানেল দুটি হলো, ড.হাসিবুর রহমান-ড.ফজলুল হক প্যানেল এবং ড. ওমর ফারুক-উত্তম কুমার চৌধুরী প্যানেল। আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি বুধবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে ড. হাসিবুর রহমান-ড.ফজলুল হক প্যানেল এর শিক্ষকবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ বলে দাবি করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বলেন, উপাচার্য ড. ওমর ফারুক-উত্তম প্যানেল এর পক্ষে সরাসরি কাজ করছেন। একই সঙ্গে তারা অপর প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ড. ওমর ফারুককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে তিনি জিয়া পরিষদের সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রাক্তণ প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বক্তব্য রাখেন।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পরই পাবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ পত্রে বলা হয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি উপাচার্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই একটি গোষ্ঠীর নোংরা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ পত্রে আরও বলা হয়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পুরোপুরি শিক্ষকদের নিজস্ব বিষয়। এখানে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। এদিকে ড. ওমর ফারুক-উত্তম প্যানেল এর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী উত্তম কুমার চৌধুরী এক প্রতিবাদ পত্রে নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ দাবি করে বলেন, শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবি জেনে বিপক্ষ প্যানেলের শিক্ষকরা মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। তার প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ড. মো. ওমর ফারুক আওয়ামী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে। শিক্ষক সমিতির ১৫টি পদে ১০০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রযোগ করবেন।