আফগানিস্তানে দীর্ঘ ১৯ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর করতে বড়দিনের আগে দেশটি থেকে সব মার্কিন সেনাকে সরিয়ে আনতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ বিষয়ে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন- ‘বড়দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে স্বল্পসংখ্যায় অবশিষ্ট আমাদের বীরপুরুষ ও নারী (সেনাদের) ফিরিয়ে আনা উচিত আমাদের।’ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, এটি তার নির্দেশনা, নাকি প্রত্যাশা—তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
‘আগামী বছরের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার পরিমাণ কমিয়ে আড়াই হাজারে নিয়ে আসা হবে’; ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েনের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার ট্রাম্প সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। টুইটার পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের যে অল্প সংখ্যক সাহসী নারী-পুরুষ দায়িত্ব পালন করছেন, বড়দিনের আগেই তাদের ঘরে ফিরে আসা উচিত’।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাতারে হওয়া ঐতিহাসিক এক চুক্তিতে তালেবানদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানের শর্তে আগামী বছরের মে মাসের আগেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। চুক্তির ফলে তালেবানরা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, নভেম্বরের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজের দখল ধরে রাখতে চাওয়া ট্রাম্প তার প্রচারণায় বারবারই ‘অহেতুক অন্তহীন যুদ্ধ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার কৃতিত্ব দাবি করছেন; যদিও এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনা উপস্থিতি বিদ্যমান।
যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সৈন্য সংখ্যা কমালেও আফগানিস্তানে সরকার সমর্থিত বাহিনী ও তালেবানদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুই পক্ষের যুদ্ধে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে।
এনএইচ/