ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সহকর্মী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষক একই সঙ্গে বিদ্যালয়টির পরিচালকও। অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাঈদ সদর উপজেলার দীঘারকান্দা পদুর বাড়ির আব্দুল কদ্দুসের ছেলে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালক আবু সাঈদ পলাতক। তিনি বয়ড়া ইউনিয়নের দীঘারকান্দা পদুরবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৩ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আবু সাঈদ ওই নারীকে তাঁর দীঘারকান্দার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পর তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। পরে বাদী ৯ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুলে গিয়ে আবু সাঈদকে বিয়ে করার কথা বলেন। সাঈদ তাঁকে গালাগাল করে কিলঘুষি মেরে আহত করেন। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় স্কুলশিক্ষিকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আমরা দ্রুত আবু সাঈদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার শিক্ষিকা বলেন, আবু সাঈদ পরিচালিত আদর্শ মডেল স্কুলে শিক্ষকতার সুবাদে তার সঙ্গে সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৫ বছর প্রেম চলাকালীন বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণও করেছে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য একটি মেয়ের খপ্পরে পড়ে আমাকে বিয়ে করবে না বলে অস্বীকৃতি জানায়।
এমন অবস্থায় আমি তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করলে, সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। গত দুই মাস যাবত আবু সাঈদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে আমি কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।
নাজমুল হাসান/পবলিক ভয়েস