শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী রহ. হারিয়ে জাতি এক অমূল্য রত্নকে হারাল। তিনি আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষথেকে রহমত স্বরূপ ছিলেন। আজ তিনি আমাদের থেকে চলে গেছেন, তার অবর্তমানে আলেম ওলামাদের কর্তব্য হলো তাঁর নীতি আদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা।
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় কুড়িগ্রাম জেলা ওলামা পরিষদ নাগেশ্বরী উপজেলার উদ্যোগে, নাগেশ্বরী হামিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসায় আয়োজিত আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় দুআর পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে কুড়িগ্রাম জেলা ওলামা পরিষদের সাবেক সভাপতি, তানযিমুল মাদারিস বাংলাদেশ এর কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী মাওলানা আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শায়খুল ইসলাম রহ. এর কুরআন-হাদিস প্রচার-প্রসারে তাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও কুরবানী জাতির কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মুফতী শামসুদ্দীন বলেন, জাতি এক আধ্যাত্মিক অভিভাবক হারাল। শায়খুল ইসলাম রহ. একজন খাটি আল্লাহ ওয়ালা মুত্তাকী বান্দা ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি নিয়মিত তাহাজ্জত গুজার ছিলেন তাছাড়া তিনি সারা জীবন দেওবন্দিয়াতের চেতনার ফসল রাতের সাধক ও দিনের মুজাহিদ তৈরীতে মশগুল ছিলেন।
মুফতী আব্দুল হান্নান বলেন, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমাদ শফী একটি চেতনার নাম, একটি ইতিহাস ও একটি বিপ্লবের নাম। তাঁর মাঝে আমরা খুঁজে পেয়েছি মাদানী চেতনা। যার বাস্তবতা আমরা দেখতে পেয়েছি শায়খুল আরব ওয়াল আজম শায়খুল ইসলাম মাদানী রহ. এর রঙ্গিলা রাসূল আন্দোলন থেকে- বাংলার শায়খুল ইসলাম আহমদ শফী রহ. এর আহবানে হেফাজতের ঐতিহাসিক আন্দোলনে।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ জিহাদী বলেন, শায়খুল ইসলাম রহ. ঐক্যের প্রতিক ছিলেন। উম্মাহর দরদী এক অবিসংবাদিত মহানায়ক ছিলেন।
ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে গণমানুষের গড়ে উঠা প্রতিরোধ আন্দোলনের আল্লামা শফী ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। ঈমান ও ইসলাম রক্ষার সে আন্দোলন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। হযরতের অবর্তমানে ইসলাম নিয়ে কেউ কুটক্তি করার সাহস দেখালে তার সৈনিকরা কঠিন জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।
হযরতে সহবত প্রাপ্ত সাবেক খাদেম মুফতী জিয়াউল হক বলেন, শায়খের ব্যবহারে মানুষ মুগ্ধ ছিল। তিনি সর্বদা খাদেমদের সাথে নিয়ে খানা খেতেন। অনেক সময় খাদেমরা দরসাগাহ থেকে আসতে দেরি হলে নিজ হাতে তরকারি গরম দিয়ে প্লেট ধুয়ে পরিষ্কার করে দস্তরখানায় বসে অপেক্ষা করতেন, শায়খ রহ. এমন সাদাসিধে ভাবেই জিন্দেগী কাটিয়েছেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুহাদ্দিস আব্দুল মজিদ, মুফতী রাশিদুল ইসলাম, মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম।