নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে তিতাস গ্যাসের অবহেলায় সংঘঠিত হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের ইন্তেকাল হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুস সাত্তার (৪০)।শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ জনে।
একই সাথে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও আট জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সাত্তার মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আইসিইউতে ভর্তি আরও আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধ-শতাধিক মুসল্লি আহত হন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি মোট ৩৭ জনের মধ্যে ২৯ জন মারা যাওয়ায় সেখানে এখনো ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় যারা ইন্তেকাল করেছেন- মোস্তফা কামাল (৩৪), মো. রিফাত (১৮), মো. রাসেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহীম বিশ্বাস (৪৩), জুয়েল (৭) সাব্বির (২১), মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও তার সন্তান জুনায়েদ (১৬), জামাল আবেদিন (৪০), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৫০), কাঞ্চন হাওলাদার ( ৫০), গার্মেন্টকর্মী নয়ন (২৭), রাসেল (৩৪) ও মো. বাহাউদ্দিন (৫৫), মো. মিজান (৪০), মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক নেসারি (৫৫), শামীম হাসান, নাদিম হোসেন (৪৫) মনির ফরাজী (৩০), ইমরান (৩০) ও হান্নান (৫০)।