
পড়ে আছে জায়নামাজ, টুপি, চশমা ও ভাঙ্গা কাঁচসহ মসজিদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আসবাব। তবে নেই শুধু মুসুল্লিরা। গ্যাস লাইনে লিকেজ ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে নিভে গেলো অনেক তাজা প্রাণ। সেইসঙ্গে ধ্বংস হয়েছে পরিবার-স্বজনদের স্বপ্ন।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে এবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইমাম আবদুল মালেক আনসারী। এর আগে, দুপুরে ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন মারা যান। শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিস্ফোরণের পর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। দগ্ধ বাকি ১৪ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ডা. সামন্তলাল সেন জানান, তারাও রয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি গভীর শোকও প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাতের এশার ফরজ নামাজ শেষে সুন্নত ও বিতের নামাজ পড়ার সময়টাতেই মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতোমধ্যে দগ্ধ হয়েছেন ৩৭ জন। মৃত্যুর মিছিলও যুক্ত হচ্ছেন একের পর এক মুসল্লি। এলাকার লোকজনের দাবি গ্যাস লাইনে ত্রুটির কথা জানানো হয়েছিলো কর্তৃপক্ষকে। কতৃপক্ষ কোনো ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি ।
বায়তুস সালাত মসজিদের কোণায় কোণায় এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আগুনের তাণ্ডবের চিহ্ন। কতটা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সম্মুখীন হয়েছিলেন নামাজে থাকা মুসল্লিরা, বলে দিচ্ছে পুড়ে যাওয়া জায়নামাজ, ভাঙ্গা কাঁচ, মসজিদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আসবাব। তবে ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও পবিত্র কোরআন আছে অক্ষত।###
এনএইচ/