পাবলিক ভয়েস: তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যকার বিরাজমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ২২ জানুয়ারী দেওবন্দ যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। তবে প্রতিনিধি দল সত্যিই কি দেওবন্দ যাচ্ছেন কি না, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
অনেকেই বলছেন, এ পরিস্থিতিতে দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ কখনও বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি দলের সাথে বসতে রাজি হতে নারাজ । সুতরাং প্রতিনিধি দলের দেওবন্দ সফর নাও হতে পারে।
কিন্তু এর আগে আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে নিজ প্যাডে সিল-স্বাক্ষর সহ আল্লামা আরশাদ মাদানীর আমন্ত্রণ লেটার৷ যেখানে তিনি বলেন,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
গত ১৮-০১-২০১৯ তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ এর উদ্দেশ্যে (তাবলীগ বিষয়ে) বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দল কে দারুল উলুম দেওবন্দে ২৩-০১-২০১৯ তারিখ সকাল ১১.০০ টায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং সেটা চিঠি দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রোপাগান্ডা এবং ভুল তথ্য শুনেছি যে দারুল উলুম দেওবন্দ নাকি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দলকে গ্রহণ করবে না বা গুরুত্ব দিবে না। আমি দায়ভার নিয়ে বলছি এটা একেবারেই প্রোপাগান্ডা এবং ভুল তথ্য। আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের সবাই প্রস্তুত আছি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধি দলকে পুর্বের সেই তারিখে স্বাগত জানাতে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৭ জানুয়ারী, দেওবন্দের মুহতামীম মাও. আবুল কাসেম নুমানীর সাক্ষর সহ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্রদের জন্য একটি নোটিশ টানানো হয়। যেখানে বলা হয়, তাবলীগ জামাতের উভয় গ্রুপের সৃষ্ট ফিতনা থেকে দারুল উলুম দেওবন্দকে বাঁচানোর জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই আদেশ দেওয়া হচ্ছে, দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই বলে আসছে যাতে দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্র বা উস্তাদ যে কেউ তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের কারো সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখতে পারবে না।
তাছাড়া তাবলীগ জামাতের ভেতর-বাহির কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এবং বহিরাগত কেউ দেওবন্দের ভিতরে কোনো কাজ করতে পারবে না । যদি এর বিপরীতে কেউ অবস্থান নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোনো ছাত্র যদি এর বিরুদ্ধচারণ করে তার ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন : ২২ তারিখ দেওবন্দ যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত : উদ্বেগ-উৎকন্ঠা তাবলীগে