দেশের কওমী মাদরাসা খুলে দিতে সরকারী অনুমতি ও লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন জারী করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেতেই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দুই হাজার কোটি টাকা পাচার তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর পরীক্ষা শুরু ২০ সেপ্টেম্বর
কওমী মাদরাসা খোলার অনুমতির প্রজ্ঞাপনে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের সবগুলো সেক্টর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অপরদিকে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ূুম, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম, কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট লুৎফর রহমান, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিএম রুহুল আমিন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ লতিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা মকবুল হোসেন, মাওলানা কেফায়েতুল্লহ কাশফী, মাওলানা খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংগঠনের ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্বাচনে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত : করোনাকালীন সময়ে করোনা মহামারীর বিস্তার রোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে কওমী মাদরাসামূহকেও গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। পরবর্তিতে আলেমদের দাবি অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ জুলাই থেকে কওমী মাদরাসাসমূহের হিফজ বিভাগ খুলে দেয় সরকার। গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে হেফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয়।
১২ জুলাই থেকে হিফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার
আজ থেকে খুলছে হেফজখানা : খুলতে পারে কওমী বিভাগও
এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছিল।
আরও পড়ুুন : মাদরাসা খুলতে সরকারের সাথে যোগাযোগে হাইআর সাব-কমিটিতে আছেন যারা
এরপর গত ২৩ জুলাই হাইআতুল উলআর পক্ষ থেকে ৮-ই আগষ্ট দেশের সকল কওমী মাদরাসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট হাইআর একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে ৮ আগষ্ট কওমী মাদরাসা খোলার পূর্ব সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয় সরকার আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর। এরপর মাদরাসা খোলার নতুন সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানানো হয়। যা নিয়ে সরকারের সাথে হাইয়াতুল উলআর পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা হয় যেসব এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কওমী মাদরাসাসমূহকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা গ্রহণের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়। আজ যা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুুন :
৮ আগষ্ট দেশের সকল কওমী মাদরাসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা
কওমী মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত স্থগিত হাইআর : নতুন সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে
হাইআর সিদ্ধান্তের আলোকে ৮ আগস্ট বারিধারা মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্তও স্থগিত
কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দেয়া সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে : আতাউল্লাহ হাফেজ্জী
কওমী মাদরাসা বন্ধ রাখার সুযোগ নেই, অতি শীগ্রই খুলে দিন : মুফতী ফয়জুল করীম
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতিদ্রুত কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দিন
স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করে হলেও কওমী মাদরাসা খুলে দিন : ইশা ছাত্র আন্দোলন