জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এটা মীমাংসিত বিষয়। এখন যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়া নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী এবং দেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। সরকার যদি চক্রান্তকারীদেরকে সমর্থন করে, তাহলে তার পরিণাম শুভ হবে না।
আজ (১৯ অক্টোবর) বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে আয়োজিত বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার চক্রান্তের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এই দেশে কেবল ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ করাটাই যথেষ্ট নয়, বরং বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করতে হবে। তাতেই এদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সংখ্যালঘুদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে অর্থনৈতিক শোষণ-বৈষম্য ও জুলম-নির্যাতন থেকে মুক্তিলাভের জন্য। ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। সুতরাং ইসলামবিরোধী যেকোন চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে জনগণ পিছপা হবে না।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন-এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারী, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বশিরুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নূর মোহাম্মদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হিদায়াতুল ইসলাম, মাওলানা সলিমুল্লাহ খান, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোয়ায়েল, যু্ব জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা বুরহান উদ্দীন, মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দীন ইউসুফ ফাহিম, ছাত্র জমিয়ত মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাশকুর আহমদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে তদস্থলে ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার কোনরূপ চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। বৃটিশ ভারত থেকে এ অঞ্চল স্বাধীন হয়েছিল মুসলিম পরিচিতি ও ইসলামী চেতনাবোধকে সমুন্নত রাখার মহান লক্ষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। সে হিসাবে এ দেশে কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নয়, বরং ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়াই যুক্তিযুক্ত।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম সহনশীল, শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীর নাগরিক, সুবিচার ও ইনসাফ পাওয়ার অধিকারকে ইসলাম সবসময় স্বীকার করে। সুতরাং এ হীন পাঁয়তারা বন্ধ না করা হলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।