হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসার মোরশেদুল হাসান সোহেলকে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে আজ রোববার এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মোরশেদুল হাসান সোহেলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা হয়। ওই মামলার তদন্ত শেষে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১১ আগস্ট তার গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, মোরশেদুল হাসান সোহেল হাইকোর্টে বেঞ্চ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নিজেকে তিনি কখনও ব্যারিস্টার আবার কখনও বিচারক বলে পরিচয় দিতেন। গত ৬ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগের ঝিলপাড় এলাকার নিজ বাসা থেকে এক নারীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সেইসঙ্গে তার বিলাসবহুল দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ সম্প্রতি এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তর করে। পরে সেই ঘটনার সূত্র ধরে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সোহেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে গত বছরও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সোহেল। কিন্তু মাত্র একদিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে, সোহেলকে গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানতে পারে যে, কয়েক বছর আগে থেকেই তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এবার তাকে গ্রেপ্তারের পর মিরপুর থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। কিন্তু রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়নি। আর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় তার সম্পদের প্রকৃত তথ্য জানতে পারছে না পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সোহেল ইয়াবা বিক্রির টাকায় বিলাসবহুল দুটি গাড়ির মালিক। গত কোরবানির ঈদের আগে ৯৫ লাখ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছেন তিনি। অথচ সেটির ওপর এখনও নম্বর প্লেট বসেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাহেবগঞ্জ এলাকায় সোহেলের গ্রামের বাড়ি। তার বাবা স্কুল শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু এখন বৃদ্ধ। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ছেলের অন্যায় দেখেও কিছু করতে পারছেন না।
এ কারণে পুলিশ ধারণা করছে, মোরশেদুল হাসান সোহেলের বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকতে পারে।
এমএম/পাবলিকভয়েস