ফাহিম ফাইয়াজ
পাবলিক ভয়েস
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে যোধ্যায় শুরু হয়েছে রাম মন্দিরের নির্মাণ। আর অযোধ্যা শহরের বাইরে তৈরি হচ্ছে মসজিদ। এই মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুদান দিতে চেয়ে যারা ফোন করছেন, তাদের ৬০ শতাংশই হিন্দু। মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টের পক্ষ থেকেই এ কথা স্বীকার করা হয়েছে।
একটি ভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের বরাতে নিউজ ১৮ জানিয়েছে, এই মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুদান দিতে চেয়ে যারা ফোন করছেন, তাদের ৬০ শতাংশই হিন্দু। মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টের পক্ষ থেকেই এ কথা স্বীকার করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউজ ১৮ এর খবরে দাবি করা হয়েছে, আবারও হিন্দু মুসলিমদের ভেতর সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরে আসছে।
অযোধ্যা শহরের বাইরে ধন্নিপুর গ্রামে এই মসজিদ তৈরি হওয়ার কথা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে সেখানেই উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছে। মসজিদের নির্মাণকাজ দেখাশোনার জন্য একটি ১৫ সদস্যের ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।
ইন্দো- ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে ওই ট্রাস্টের মুখপাত্র আতহার হুসেন বলেন, 'মসজিদ নির্মাণের জন্য যেভাবে মানুষ এগিয়ে এসেছেন তাতে আমরা অভিভূত৷ যারা অনুদান দিতে চেয়ে ফোন করছেন, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই হিন্দু৷' এখনও পর্যন্ত যা হিসেব করা হয়েছে, তাতে মসজিদ নির্মাণের পরেও ওই ট্রাস্টের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকবে। তা দিয়েই মসজিদের পাশাপাশি একটি হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন এবং শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই ট্রাস্টের কাজ পরিচালনার জন্য লখনউতে একটি অফিস খোলা হয়েছে। পাশাপাশি, বিদেশি অনুদান গ্রহণের জন্য খোলা হয়েছে দু'টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট৷ তবে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো হয়ে গেলেও করোনা অতিমারির জন্য মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু করার আয়োজন এখনও সেভাবে করে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে ট্রাস্টের তরফে আতাহার হুসেন দাবি করেছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন।
আই.এ/