আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করাসহ আফগান সরকারী বাহিনীর প্রায় ১ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে তালেবান।

গতকাল বুধবার রাতে তালেবানদের কাতারের কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহেল শাহীন এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে, প্রতিশ্রুতি অনুসারে সরকারী বন্দিদের মধ্যে ১,০০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে তালেবান।

তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "অপরদিক থেকেও আন্তঃ-আফগান আলোচনা শুরু করার সুবিধার্থে দোহা চুক্তি অনুসারে প্রতিশ্রুত ৫,০০০ তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াও অবশ্যই শেষ করতে হবে।"

তিনি টুইট করে বলেছেন, ততকালীন বাহিনী দ্বারা বাঘলান ও লোগার প্রদেশে ২৫ জন সরকারী বাহিনীকে আটক করে তাদের পরিবারে প্রেরণ করা হয়েছে।

দোহায় স্বাক্ষরিত মার্কিন-তালেবান শান্তি চুক্তির আওতায় আফগান সরকার ০ হাজার তালেবান সদস্যকে মুক্তি দেবে, এর মধ্যে তারা এ পর্যন্ত ৪,৪০০ এরও বেশি মুক্তি দিয়েছে। এবং তালেবানরা এক হাজারকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে তারা ৮০০ এরও বেশি মুক্তি দিয়েছে।

আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা হিসাবে আলোচনার পথ সুগম করার লক্ষ্যে চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় ছিল একটি বিধান।

মঙ্গলবার, তালেবানরা আগামী সপ্তাহগুলিতে প্রত্যাশিত আন্তঃ-আফগান আলোচনার আগে ঈদুল আজহার সময় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। এই দলটি তাদের যোদ্ধাদের আফগান বাহিনীর আক্রমণ এড়াতে এবং সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

তালেবান এর আগে ২০১৯ সালে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছিল জুন ২০১২ সালের পর থেকে এটি দেশে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি।

ন্যাটো এক টুইট বার্তায় তালেবান ও আফগান সরকার কর্তৃক যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জানিয়েছে: "এটি আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আন্তঃ-আফগান আলোচনার সর্বাধিক সম্ভাব্যতম সূচনার দিকে নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।"

তালেবানদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে আফগান সরকার, তালেবান ঘোষণার পর রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র সিদ্দিক সিদ্দিকী বলেছেন। "যুদ্ধবিরতি ঘোষণা একটি চূড়ান্ত পদক্ষেপ, তবে আফগানিস্তানের জনগণ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আফগানিস্তান এবং তালেবানদের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায়।" সিদ্দিকী বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি গানি আফগান বাহিনীকে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি পালন করার এবং তালেবানদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযান না চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন