কওমী অঙ্গনে আলোচিত বাংলাদেশ ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মাওলানা ওসমান কাসেমের উপর অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু যুবকের হামলা করার নির্দেশদাতা হিসেবে কয়েকজনকে আসামী করে দেওয়া মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে ইসলামি ঐক্যজোটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুফতী ফজলুল হক আমিনী (রহ) এর দৌহিত্র মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফেজ আশরাফ উদ্দীন মাহদী, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাযি এবং মাওলানা জুবায়েরসহ মোট তিনজনকে।
মামলার বাদি ওসমান কাসেম তাঁর ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন - গত ১৯/৭/২০২০ আমার উপর হামলার নির্দেশদাতা হিসাবে যাদের নামে মামলা করেছি আশরাফ মাহদীর বাবা মাওলানা জসিম সাহেব ও মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহীর মধ্যস্থতায় আমার দলের সাবেক চেয়ারম্যান মুফতি আমিনী রহঃ পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ও আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ যুগ্ম-সচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহীর অনুরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত ও আশরাফ মাহদীর নাম যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকি সবকিছু আল্লাহর উপর সোপর্দ করলাম।
এদিকে আশরাফ মাহদিকে দুবাই থেকে ফেরত আনার বিষয়টিও চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পথে আছেন। আশরাফ মাহদির দাবি এবং ফেসবুকে অনেকের মতামত অনুসারে জানা যায় - আজ সকাল ১১ টায় তাকে দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়ছে। এ বিষয়ে আশরাফ মাহদি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন - অপেক্ষার ৪৩ ঘন্টা। অবশেষে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। (আজ ২৭ জুলাই) বাংলাদেশ টাইম এগারোটায় দুবাই থেকে ফ্লাইট।
প্রসঙ্গত : গত ১৮ জু্লাই শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মাওলানা ওসমান কাসেমের উপর অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু যুবক হামলা করে। যে হামলার পর ১৯ জুলাই তাদের রক্তাক্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। পরবর্তিতে এ ঘটনায় ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৯ জনকে উল্লেখ করে মোট ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন ১। আহসান উল্লাহ্ ২। মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাযী ৩। মাওলানা যুবায়ের আহমাদ ৪। মুফতী হারুন ইজহার, ৫। মাওলানা আসাদুল্লাহ্ ৬। মাওলানা মীর ইদ্রিস ৭। মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী (মেখল) ৯। হাফেজ মাওলানা আশরাফ মাহদী প্রমূখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন।
মামলার বিষয়ে ওসমান কাশেমের কাছে বেশ কয়েকদিন আগে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি পাবলিক ভয়েসকে বলেন – বিষয়টি থানার তদন্তাধিন বিষয় তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে রাজি নই।
পরবর্তি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে একটি সূত্র অনুসারে জানা যায় – আশরাফ মাহদির পূর্ব নির্ধারিত নিয়মতান্ত্রিক ফ্লাইটে গতকাল (২৬ জুলাই) মিশরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। এর মধ্যে তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলেও জানা যায়। ফ্লাইট দুবাই ট্রানজিট হলে সেখানের কর্মকর্তারা তাকে জানান যে, বাংলাদেশ থেকে রিপোর্টের কারণে তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে তারা!
পরবর্তিতে ২৭ জুলাই বিষয়টি ফেসবুকে ডালপালা মেলে এবং কওমী তরুণ ও আলেমদের মধ্যে অনেকেই আশরাফ মাহদীর পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। তার পক্ষে তুমুল প্রতিবাদের কারণেই তিনি মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা যায়।
আরআর/পাবলিক ভয়েস