স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতি নিয়ে সর্বত্র আলোচনা। করোনাকালে এই খাতের মুখোশ খুলে পড়ে গেছে। একের পর এক বেরিয়ে আসছে অনিয়মের তথ্য। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা উঠছে চারদিক থেকে। সংসদেও তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন অনেক সাংসদ। কিন্তু সব আহ্বানকে উপেক্ষা করেই তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। তবে এবার পদত্যাগের দাবি করেছেন তার দলেরই শরিক নেতারা।
তীব্র সমালোচনার মুখে ইতোমধ্যে পদ ছেড়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সেই প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মূল গাছ খাড়া রেখে ডালপালা কেটে তো কোনো লাভ নেই। তাতে আবার নতুন করে ডালপালা গজাবে, এটাই স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যখাতকে ঠিক করতে হলে অনিয়ম-দুর্নীতির মুলোৎপাটন করতে হবে।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, মহাপরিচালক পদত্যাগ করলেন। তিনি তো আর একা কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। মন্ত্রীর পরামর্শ কিংবা জ্ঞাতসারেই সিদ্ধান্ত নেন। তাহলে অনিয়মের দায়ভার তো মন্ত্রীকেও নিতে হবে। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় করোনাভাইরাসের উদাহরণ দিতে গিয়ে আমেরিকার কথা বলেন, কিন্তু পাশের দেশ নেপালকে দেখেন না, ভিয়েতনামকে দেখেন না। আসলে তিনি নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে চান।
আরেক শরিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আমরা স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম নিয়ে কথা বলে আসছি। সেই অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা এখন আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাড়া এই সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। একই দাবি করেছেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ প্রায় সব শরিক দলের শীর্ষ নেতারা।
এমএম/পাবলিকভয়েস