ইউসুফ পিয়াস: করোনার কারণে লকডাউনের সময় জনপ্রিয়তা পায় ভিডিও কলের ফিচার জুম, গুগল মিট, স্কাইপ ও এমএস টিমস। এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে মানুষ।
তবে বেশ কিছুদিন ধরে ভিডিও চ্যাটের জন্য জুম তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও গত দুই মাস ধরে ব্যক্তিগত ইস্যু ও নিরাপত্তায় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে জুম। এমন পরিস্থিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জুমের বিকল্প হিসেবে তৈরি করেছে ম্যাসেঞ্জার রুম ।
ম্যাসেঞ্জার রুমে প্রাথমিক অবস্থায় এই ফিচারটিতে সর্বোচ্চ ৫০ জন যুক্ত হতে পারেন। এখানে মিটিংয়ের জন্য কোনো নিদ্দিষ্ট সময় সীমা নির্ধারণ করা নেই। যতক্ষণ প্রয়োজন এই মিটিং চালিয়ে নেয়া সম্ভব। করোনা পরিস্থিতিতে গ্রুপ ভিডিও কলের চাহিদা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে 'জুম' অ্যাপটিকে টক্কর দিয়ে 'রুম' ফিচার ভালো ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবহার করবেন যেভাবে:
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাটরুমে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে যুক্ত করতে পারবে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এটি ব্যবহার করা যাবে। চ্যাটের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
প্রসঙ্গত: ফেসবুকের এ ফিচারটি এপ্রিলেই চালু হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু নানান জটিলতায় শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের মাঝামাঝি এসে এ সেবা চালু করলো ফেসবুক। হোয়াটসপ, ইমো, ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলিং সুবিধা থাকতে ফেসবুক কেন রুম টুলসের প্রবর্তন করল? এমন প্রশ্ন সবারই আসবে।
এ বিষয়ে ক্রাফের প্রেসিডেন্ট জেনিফার আলম বলেন, ফেসবুক রুমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস আছে যা অন্যান্য মিট অ্যাপগুলোতে বিদ্যমান নয়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ফেসবুক রুমে এড করা হয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় হয়তো পরবর্তী সময়ে এর পরিধি আরও বাড়তে পারে।
বরাবরই ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি নিয়ে গ্রাহকরা সমস্যায় পরে, সিকিউরিটি বিষয়ে ক্রাফের টেকনিক্যাল ক্রু বি এম ইয়ামিন বলেন, ফেসবুক রুম ভিত্তিক যে নতুন ফিচার এড হয়েছে এখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, কারণ এর জন্য গ্রাহক আলাদাভাবে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে না এবং ফেসবুক যে সমস্ত পারমিশন নিয়ে থাকে সেগুলোই বিদ্যমান।
জুম অ্যাপস নিয়ে যেখানে নিরাপত্তার কথা উঠছিলে সেখানে ফেসবুকের রুম এখন পর্যন্ত বেশ নিরাপদ। এটি সংগঠন, গ্রুপ চ্যাট, ক্লাস নেওয়া, কনফারেন্স প্রভৃতিতে বেশ ভালো সুবিধা দেবে।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস