বর্তমান সময়ে আলেম ওলামার ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা বেড়েছে। ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বড় ধরণের ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করছেন আলেমরা।
দেশ-বিদেশে পরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক হিসেবে প্রশংসিত ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় আলেম মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ জরুরি খাদ্যসামগ্রির কোম্পানি করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক বাণিজ্য শুরুও করেছেন।
প্রাথমিকভাবে “ঘরোয়া কনজুমার” নামে হলুদ মরিচ ধনিয়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এছাড়াও ধিরে ধিরে বৃহত আকারে কনজুমার পন্যের কোম্পানি, মাছের প্রজেক্ট এবং প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবসাও শুরু করতে যাচ্ছেন। প্রতিটি বিষয়ে গভীরভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে কাজ করছেন।
মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, আমি মূলত খেদমত এবং মানুষকে বিশুদ্ধ পণ্য দিতে ব্যবসায় নেমেছি। যতটা নিয়ন্ত্রিত এবং নিয়ম মেনে প্রতিটি পন্য প্যাকিং করছি তা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য।
"ঘরোয়া কনজুমার"-এর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল, যে কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন আর ভেজাল মেশানোর কারণে মানুষ বিশুদ্ধ পণ্য পাচ্ছে না।
মূলত সেখান থেকেই স্বচ্ছ এবং বিশুদ্ধ জিনিস মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই ব্যবসায় অগ্রসর হওয়া। ঘরোয়া কনজুমারের কোনো পণ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নাই ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ঘরোয়া করজুমার পিওর খাবারটাই মানুষ কাছে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর।
[ঈদু্ল আযহা উপলক্ষে ঘরোয়া কনজুমারের বিশেষ প্যাকেজ]
ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রাথমিক বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে থার্ড পার্টি হিসেবে অর্থাৎ প্রার্থী হিসেবে অনলাইন ও অফলাইনে পণ্য বিক্রি করছি এবং নিজেরা প্রতিটি ক্ষেত্রে উপস্থিত থেকে প্রতিটি পণ্যের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করে তারপর সেগুলো প্যাকিং করে সেল করছি।
'কে-ডট প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড'র বিএসটিআই অনুমোদনের কাজ চলমান রয়েছে। অনুমোদন পেলে আমরা নিজস্ব কারখানায় প্রোডাক্ট তৈরি করে সরবরাহ করব।
আলেম ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি করবেন বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়াও ইতোমধ্যে ল্যান্ড প্রপার্টিজের ব্যবসার ঘোষণাও দিয়েছেন। জয়েন স্টক থেকে অনুমোদন পেলেই শুরু করবেন। সেখানেও লভ্যাংশের ২০ পার্সেন্ট সমাজসেবায় বরাদ্দ রাখবেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনায় হাসপাতাল নির্মাণের কথাও জানান মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
অনেকে মনে করেন, আলেমরা এভাবে ব্যবসায় এগিয়ে এলে ভেজাল পণ্য অটোমেটিক ঘরে উঠে যাবে। বিশেষ করে হাবিবুর রহমান মিছবাহ’র মতো জনদরদীরা ব্যবসায় এলে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে ও আস্থার সঙ্গে পণ্য কিনতে পারবে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ঘরোয়া কনজুমারে চলছে অফারমূল্যে প্যাকেজ পন্য সরবরাহ :
পবিত্র কোরবানি উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ঘরোয়া কনজুমার। প্যাকেজে রয়েছে— ১কেজি মরিচের গুঁড়া, ১কেজি হলুদের গুঁড়া, ২৫০গ্রাম ধনিয়ার গুঁড়া, ২৫০গ্রাম জিরার গুঁড়া এবং ৫লিটার খাঁটি সরিষার তেল [কাঠের ঘানি]।
প্যাকেজের বিক্রয় মূল্য : ১,৭০০/- একহাজার সাতশত টাকা। অফার/প্যাকেজ মূল্য ১,৫২০/- একহাজার পাঁচশত বিশ টাকা। এই অফারটি শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক প্যাকেজের জন্য এবং কোরবানী পর্যন্ত।
ফুরিয়ে যাবার আগে আপনার অর্ডার নিশ্চিত করুন। অর্ডার নিশ্চিত করলেই পাচ্ছেন একটি হ্যান্ডওয়াশ হাদিয়া। সার্ভিস চার্জও ফ্রি [সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ফ্রি। অন্য মাধ্যমের ডেলিভারি চার্জ গ্রাহককে বহন করতে হবে] ডেলিভারি শুরু হবে ২২জুলাই ২০২০ থেকে।
যোগাযোগ : 01719-788383 / বিকাশ : 01941-686495