পবিত্র ঈদুল আযহায় কুরবানী করা গরুর চামড়া গরিব, এতিমদের হক উল্লেখ করে প্রতি বছর কোরবানির সময় তৈরি হওয়া চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি তুলেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সম্মিলিত বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া।
বোর্ড কার্যালয়ে হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছের সভাপতিত্বে আজ সোমবার (১৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান প্রেরিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে - কুরবানীর আগে কওমী মাদরাসা খুলে দেয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে হাইআতের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদরাসা খোলার ঘোষণা আসার পর তাৎক্ষণিক বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি পরীক্ষার তারিখ ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
বৈঠকে আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন, কোরবানীর পশুর চামড়া অসহায় গরীব এতিমদের হক। অথচ এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে গরীব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধামমন্ত্রীর নিকট ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলছেন - কুরবানীর ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, কুরবানীর পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠছে। গত বছর দেশের বহু এলাকায় চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে স্থানীয় জনগণ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলে, আগুনে পুড়িয়ে ও পানিতে ফেলে প্রতিবাদ করেছে। এ বছর যদি ঈদের আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীগণ চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির অন্যতম শিল্প ধ্বংস হবে।
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ সব দাবী জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতী মো: ওয়াক্কাস, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতী শাসমুদ্দীন জিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুহিব্বুল হক, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মুফতি মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা উসামা আমীন এবং আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল, মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান প্রমূখ।