পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক আঃ মালেক কর্তৃক এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউপির লতিফ মহাসেনা পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক একই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। এ সুবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীটিকে কৌশলে ফোনে ডেকে নিয়ে বাড়ির অদুরে সিকদার বাড়ির সামনে সরকারি এক ঘরে উঠিয়ে তাকে ধর্ষণের জোর চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয়রা ছাত্রীর চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে এবং থানা পুলিশকে খবর দিলে পটুয়াখালী সদর থানার এসআই হাসান বশির সংগীয় ফোস নিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক ও ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেন।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে, শিক্ষক আঃ মালেককে ছাড়িয়ে নিতে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁর ভাই শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, লাউকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম খোকন, একই ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ জলিল হাওলাদার ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ রশিদ শিকদার এবং শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী হারুঅর রশিদ পাঁয়তারা চালাচ্ছে। হতদরিদ্রে পরিবারের মেয়েটির মা হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় থানার বাহিরে ঘোরাঘুরি করছে।
এ বিষয়ে জানতে লাউকাঠি ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এমএম/