বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে একসঙ্গে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১০ জুন) বিকেলে গোবিন্দপুর ইউনিয়নে আমষট্ট গ্রামের হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আমষট্ট গ্রামের হিন্দুপাড়ার নিতাই চন্দ্রের স্ত্রী সরস্বতী রানী (৪৫) ও তাদের ছেলে ঢাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া ছাত্র রবীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ (২২)।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে নিতাই চন্দ্রের সঙ্গে স্ত্রী ও ছেলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ো মা ও ছেলে বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়ার সময় মা সরস্বতী বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ছেলে রবীন্দ্রকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনিও মারা যান।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু কি বিষয় নিয়ে সেই বিরোধ তা জানা যায়নি।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন জানান, পারিবারিক কলহে মা ও ছেলে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। মা হাসপাতালে নেয়ার পথে ও ছেলে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিতাই চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ডলি রানী বর্মণ দুপচাঁচিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।###
#এনএইচ/পাবলিক ভয়েস