করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আই সি ইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা 'খুবই সংকটাপন্ন' । অস্ত্রোপচার পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় তার শারীরিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল যতটুকু উন্নতি হওয়ার কথা দৃশ্যত ততটুকু হয়নি।
অপরদিকে গতকাল (৫ মে) থেকে করোনায় আক্রান্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছেন।
শনিবার (৬ জুন) বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের বড় ছেলে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে অত্যাধিক জ্বর রয়েছে।
তিনি বলেন, বাবার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় শুক্রবার ( ৫ জুন) রাতে। এরপর থেকে শরীরে জ্বর বেশি থাকায় আজ দুপুরে বাসা থেকে সিলেটের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকরা তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। তিনি তার বাবার রোগমুক্তির জন্য সিলেটসহ দেশবাসীর কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চেয়েছেন।
অপরদিকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিষয়ে জানা যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসার্থে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া মোহাম্মদ নাসিমকে দেখে এসে আজ (৬ মে) বিকেলে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে নাসিমের অবস্থা সংকাটাপন্ন বলা হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম কেমন আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনার কন্ডিশন ভালো না। উনার কন্ডিশন ক্রিটিক্যাল। তবে আরও সময় নিলে কী অবস্থা তা বোঝা যাবে।
কত ঘণ্টা পরে চিকিৎসকরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো অপারেশনের পর ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেখি, তারপর আবার আরও ২৪ ঘণ্টা দেখার পর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু উন্নতি বা অবনতি হয় তার ওপর নির্ভর করে প্রকৃত শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে।
অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, যে ওষুধ দিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়েছিল সে ওষুধের প্রভাব এখনও যায়নি। সেক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করা দুরুহ ব্যাপার। ওষুধের প্রভাব নাকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রভাবের কারণে এমনটা হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে অজ্ঞান করার ওষুধটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু উন্নতি হয় তা দেখতে হবে।
তিনি, ওনার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন, খুবই সংকটাপন্ন। অস্ত্রোপচার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ইপ্সিত যে রেজাল্ট পাওয়ার কথা ছিল তা দৃশ্য মান না হওয়ার কারণেই খুবই সংকটাপন্ন মনে করছি।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস